করোনা বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ
জার্মানিতে করোনা সংক্রমণের বিস্তার রোধে নেয়া সব ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে৷ সপ্তাহান্তে রাজধানী বার্লিনের বিক্ষোভ সমাবেশে ছিলেন ৩৮ হাজারেরও বেশি মানুষ৷ ছবিঘরে বিস্তারিত...
বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে মরিচের গুঁড়া
বিক্ষোভে বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে পুলিশ একসময় খুব কাছ থেকে বিক্ষোভকারীদের ওপর পানিতে মেশানো মরিচের গুঁড়া স্প্রে করতে শুরু করে৷
অভিনব প্রতিবাদ
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে যেসব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে সবার প্রতিবাদ দৃষ্টিকটু ছিল না৷ ছবির এই বিক্ষোভকারীর মতো কেউ কেউ ফুল হাতেও নেমেছিলেন বিক্ষোভে৷
মুখোমুখি
বার্লিনের বিক্ষোভ একসময় রাইশটাগ পর্যন্ত পৌঁছে যায়৷ পুলিশের বাধার মুখে কারো পক্ষেই অবশ্য ভবনে ঢোকা সম্ভব হয়নি৷
কোথায় সামাজিক দূরত্ব?
বিক্ষোভে স্বাস্থবিধি অগ্রাহ্য করতে সম্ভব সব কিছুই করেছেন বিক্ষোভকারীরা৷ অনেকে তো রাস্তা দখল করে হাতে হাত ধরে রীতিমতো নাচ শুরু করে দেন!
তিন শতাধিক গ্রেপ্তার
বিক্ষোভ মিছিল থেকে তিনশ’রও বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ ছবিতে এক বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তারের আগে মাটিতে চেপে ধরেছে পুলিশ৷
দেশজুড়ে বিক্ষোভ
শনিবার রাজধানীতে হলেও তার আগে জার্মানির অনেক শহরেই হয়েছে স্বাস্থ্যবিধিবিরোধী বিক্ষোভ৷ একজনের হাতের প্ল্যাকার্ডে তারই বিবরণ৷
সব ষড়যন্ত্র!
বিক্ষোভকারীদের অনেকেরই বিশ্বাস স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করা আসলে এক ষড়যন্ত্রের অংশ৷ এক বিক্ষোভকারীর হাতের প্ল্যাকার্ডে তাই লেখা, ‘‘ বড় ভাইয়েরা আপনাকে মুখোশ পরিয়ে দিচ্ছে৷’’
মুখোশ যখন অন্তর্বাস
স্বাস্থ্যবিধিকে কটাক্ষ করতে এক বিক্ষোভকারী এসেছিলে অন্তর্বাসে নাক-মুখ ঢেকে৷
ম্যার্কেলবিরোধিতা
বিক্ষোভকারীরা মনে করেন, করোনা সংক্রমণের ভয় দেখানো এক ধরনের মিথ্যাচার৷ম্যার্কেল সরকার এর মাধ্যমে মানুষকে ঘরে বসে থাকতে বাধ্য করছে বলেও মনে করেন তারা৷ এই মিথ্যাচার বন্ধ করে ম্যার্কেলকে ক্ষমতা ছেড়ে দিতেও বলেছেন বিক্ষোভকারীদের অনেকে৷
ম্যার্কেল অপরাধী!
‘করোনার নামে’ মানুষের চলাফেরা, কাজকর্মে নানা ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করায় জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলসহ অনেকের শাস্তি দাবি করেছেন বিক্ষোভকারীরা৷
গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা
বিক্ষোভ সমাবেশে ভারতকে অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে ব্রিটিশশাসনমুক্ত করা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়৷ তার এক বিশাল পোস্টারে লেখা ছিল ‘স্বাধীনতা + আন্তনিয়ন্ত্রণ৷’
সংবাদ মাধ্যমকে ধিক্কার
করোনাকালে জার্মানির সংবাদমাধ্যমের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন অনেকে৷ এক বিক্ষোভকারীর হাতের প্ল্যকার্ডে লেখা, ‘‘ প্রেস, ছি লজ্জা!’’