1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কমিউনিস্ট যুগের শিল্পকর্ম সংরক্ষণ

৩০ নভেম্বর ২০১৮

সাবেক পূর্ব জার্মানির কমিউনিস্ট ইতিহাসের নিদর্শন সংরক্ষণ আদৌ প্রয়োজনীয় কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে৷ এক স্থপতি সে সময়কার স্থাপত্যের মধ্যে স্থায়ী শিল্পকর্ম অমর করে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন৷

https://p.dw.com/p/39B8H
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Pleul

সাবেক পূর্ব জার্মানির স্থাপত্যশৈলি মার্টিন মালেশকা-কে মুগ্ধ করে৷ গত ১৫ বছর ধরে এই স্থপতি সে সময়কার অনেক নিদর্শনের ছবি তুলে সে সব নথিভুক্ত করে চলেছেন৷ সময়ের সঙ্গে লড়াই চলছে৷ কারণ অনেক নিদর্শন চিরকালের জন্য হারিয়ে যাচ্ছে৷ মার্টিন বলেন, ‘‘১৯৯০ সালে যা ঘটেছে এবং তার পরের ২৫ বছরে যা চলেছে, তা আমার কাছে বড়ই জোরালো পরিবর্তন৷ সে আমলের যে তিনটি বাড়িতে আমি থেকেছি, সেগুলির উঠানে শিল্পের নানা নিদর্শন ছিল৷’’

সাবেক পূর্ব জার্মানিতে কোনো ভবনের দুই শতাংশ স্থায়ী শিল্পকর্মের জন্য বরাদ্দ ছিল৷ প্রাচীর চিত্র, রিলিফ, মোসাইক ইত্যাদি সেখানে স্থান পেত৷ সেই স্থাপত্যের একঘেয়েমি কাটাতে কিছু ব্যয়ও করা হতো৷ আজকের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে অনেকেই সেই শিল্পকে রাষ্ট্রের প্রচারণা হিসেবে গণ্য করলেও মার্টিন মনে করেন, সেগুলির সুরক্ষার পক্ষেও যুক্তি রয়েছে৷ মার্টিন মালেশকা বলেন, ‘‘বার্লিন প্রাচীর পতনের সময় আমার বয়স ছিল ৭ বা ৮৷ সেই বয়সে আমি বিশেষ কিছু টের পাইনি৷ রাজনৈতিক চেতনা তো ছিলই না৷ আমি তাই শিল্পকে অরাজনৈতিক হিসেবেই গণ্য করি৷’’

এরিশ এঙে-র মতো শিল্পীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ মার্টিনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ তাঁর এখনকার ছোট বাসা শিল্পকর্মে ঠাসা৷ ৮৫ বছর বয়স্ক এই শিল্পী এয়ারফুর্ট শহরে বিশাল এক প্রাচীর চিত্র এঁকেছিলেন৷ ১৯৭৬ সালে সেটি উদ্বোধন করা হয়৷ সেই আইডিয়ার কথা এখনো তাঁর মনে আছে৷ এঙে বলেন, ‘‘আমি সময়ের প্রতিকৃতি এঁকেছিলাম৷ অন্য কিছু সম্ভবই নয়৷ শিল্পী নিজেই সমসাময়িক মানুষের প্রতীক হয়ে থাকেন৷’’

মার্টিন মালেশকা এরিশ এঙে ও অন্যান্য শিল্পীদের প্রাচীর চিত্র সংরক্ষণ করতে চান৷ তাঁর কাছে এগুলি সাবেক পূর্ব জার্মানির ইতিহাসের ক্যাপসুল৷ স্থাপত্যের মধ্যে স্থায়ী শিল্পকর্ম জার্মানিতে আজ সত্যি বিরল হয়ে উঠেছে৷

রোব্যার্ট ম্যুলার/এসবি