কফি নিয়ে কিছু ভুল ধারণা
কফি হার্ট, অর্থাৎ হৃদযন্ত্রের ক্ষতি করে, ব্লাডপ্রেশার বাড়িয়ে দেয় কিংবা ক্যানসার বাঁধায় – এ রকম কিছু ধারণা প্রচলিত রয়েছে৷ তবে বেশ কিছু গবেষণায় জানা গেছে, কফি স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ তো নয়ই বরং উপকারী৷ জেনে নিন ছবিঘর থেকে৷
কফি কি হার্টের জন্য খারাপ?
এখনো অনেকেরই এরকম ধারণা৷ তবে গবেষকরা জানতে পেরেছেন, কফি হার্টের জন্য খারাপ তো নয়ই, বরং ভালো৷ ‘‘নিয়মিত কফি পান করলে হার্টের অসুখের ঝুঁকি কম’’ – এ কথা জানান জার্মান পুষ্টি সোসাইটির আনট্যি গাল৷
কফি পান করলে কি রক্তচাপ বাড়ে?
উত্তর হলো, ‘না’৷ কফি পানের পরপরই রক্তের চাপ অল্প সময়ের জন্য কিছুটা বাড়ে ঠিকই, তবে এক সমীক্ষা থেকে জানা গেছে, নিয়মিত দিনে ৩-৪ কাপ কফি পান করলে তা রক্তের চাপ বাড়ায় না বা শরীরে এর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়ে না৷ তবে যাদের আগে থেকেই হার্টের সমস্যা রয়েছে, তাঁরা কতটা কফি পান করবেন, তা বিশেষজ্ঞের সাথে আলোচনা করে ঠিক করা উচিত৷
কফি কি ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়?
আন্তর্জাতিক ক্যানসার গবেষণা কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী কফি ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ানোয় কোনো ভূমিকা রাখে না৷ অন্যান্য গবেষণা থেকে জানা গেছে, কফিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বরং ক্যানসারের কোষ বাড়া বন্ধ করতে পারে৷
কফি কি ওজন কমাতে সাহায্য করে?
কফি ওজন কমাতে সাহায্য করে এ কথা ভাবতে ভালো লাগে বলেই হয়ত অনেকে তা ভাবেন৷ কিন্তু এটা ভুল ধারণা৷ তবে যারা দুধ, চিনি বা ফ্যাটযুক্ত ক্রিম ছাড়া কফি, অর্থাৎ ‘ব্ল্যাক কফি’পান করেন তা ওজন কমাতে খানিকটা ভূমিকা অবশ্যই রাখে৷
কফিতে নেশা হয়?
এটাও পুরোপুরি ভুল ধারণা৷ ড্রাগ, মদ বা নিকোটিনের মতো কফি পানে কেউ আসক্ত হয় না৷ তবে যারা নিয়মিত কফি পান করেন, তারা হঠাৎ করে ছেড়ে দিলে বা না করলে শরীর খারাপ লাগতে পারে বা মাথা ব্যথা হতে পারে যা স্বাভাবিক৷ তাছাড়া কফি পান করা কারো জন্য নিষিদ্ধ নয়, এমনকি শিশুকে বুকের দুধ পান করান কিংবা গর্ভবতী নারীও অনায়াসে দিনে ২/৩ কাপ কফি পান করতে পারেন৷