1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ওলাফ শলৎস একটি বৃহত্তর ইউরোপের স্বপ্ন দেখেন

৩১ আগস্ট ২০২২

স্থানটি চিন্তাভাবনা করেই বেছে নেওয়া হয়েছিল: প্রাগ৷ জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস সোমবার সেখানে একটি আধুনিক, বাস্তববাদী ইউরোপের জন্য তার ধারণাগুলি উপস্থাপন করেন৷

https://p.dw.com/p/4GGa6
Tschechien | Olaf Scholz in Prag
ছবি: Petr David Josek/AP Photo/picture alliance

তবে তার বার্তায় পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো খুব আশ্বস্ত হয়নি বলে মনে করছেন ডয়চে ভেলের রোজালিয়া রোমানিয়েক৷

শলৎস সাধারণত যেমন বক্তব্য দিয়ে থাকেন ওটা তেমনই ছিল: খুব শান্ত ও প্রায় আবেগহীনভাবে কথা বলেছেন তিনি৷ অনেক বিষয়ে কথা বলেছেন৷ যেমন বিশ্বে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠা, ব্যবসা ও প্রযুক্তিক্ষেত্রে শীর্ষস্থানীয় অঞ্চল হয়ে ওঠা উচিত বলে মনে করেন তিনি৷ শলৎস বলেন, ইইউর একটি বড়, সার্বভৌম ও বাস্তববাদী সম্প্রদায় হয়ে ওঠা উচিত, যে নিজেকে রক্ষা করতে পারবে৷

এসব কথার সঙ্গে কে না একমত হবেন বলুন?

শলৎস স্পষ্টতই ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরও প্রসারের প্রতি তার সমর্থন ঘোষণা করেছেন৷ পশ্চিম বলকান রাষ্ট্রসমূহ ও জর্জিয়া, মলদোভা এবং ইউক্রেনের ইইউর সদস্য হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি৷ অদূর ভবিষ্যতে যার অর্থ হতে পারে ৩৬টি ইইউ দেশ৷

ইউরোপের আমূল সংস্কার

একটি খোলা ও আধুনিক ইউরোপ সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করে শলৎস বলেন, ‘‘অবরোধ কাটিয়ে ওঠা যায়, ইউরোপীয় নিয়ম পরিবর্তন করা যায় - প্রয়োজন হলে, তাড়াহুড়ো করেও৷'' তার বক্তব্যে শলৎস ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর ২০১৯ সালের মার্চে দেয়া প্রস্তাবগুলোই তুলে ধরেন- যেগুলো তখনকার জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেল গ্রহণ করেননি৷

বর্তমানে ইইউতে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে সবার সমর্থন প্রয়োজন হয়৷ এর পরিবর্তে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের প্রস্তাব দিয়েছেন শলৎস৷ এটি বেশি বাস্তবসম্মত বলে মনে করেন তিনি৷ শলৎসের প্রস্তাব একটি ভালো ও অনেকদিন থেকেই পাওনা থাকা একটি কৌশল৷ ইইউ অবকাঠামোর মূল যে দুটি প্রতিষ্ঠান, সেই ইউরোপীয় কমিশন ও সংসদেও আমূল সংস্কার আনার কথা বলেন শলৎস৷

Deutsche Welle Rosalia Romaniec Portrait
রোজালিয়া রোমানিয়েক, ডয়চে ভেলেছবি: DW/B. Geilert

জার্মান দর্শনে আগ্রহী নয় চেক প্রজাতন্ত্র

জার্মান আধিপত্য নিয়ে পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলোর আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে শলৎস জোর দিয়ে বলেছেন যে, তার প্রস্তাবগুলি ‘তৈরি-সমাধান নয়', বরং প্রস্তাবমাত্র, যা নিয়ে তিনি আলোচনা করতে চান৷ কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এমন বক্তব্য দেয়ার পর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শলৎসের মতবিনিময়ের একটি অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত নোটিশে বাতিল করা হয়৷ তার পরিবর্তে শলৎস চেক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী পেত্রা ফিয়ালার সঙ্গে বৈঠক করেন৷ সেই সময় ফিয়ালা শলৎসকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তার দেশ ইইউর সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের পক্ষে নয়৷ ফিয়ালা আরও স্বীকার করেন যে, তিনি আসলে শলৎসের বক্তব্য শোনেননি- ‘প্রযুক্তিগত জটিলতার' কারণে সম্ভব হয়নি বলে পরে জানানো হয়৷ কিন্তু বিষয়টি শলৎসের জন্য অস্বস্তির ছিল, কারণ তিনি তার নতুন ইউরোপের প্রস্তাব পেশের জন্য চিন্তাভাবনা করেই প্রাগকে বেছে নিয়েছিলেন৷ এর মাধ্যমে তিনি পূর্ব ইউরোপকে একটি সংকেত দিতে চেয়েছিলেন৷ ‘‘ইউরোপের কেন্দ্রটি পূর্ব দিকে ঝুঁকছে,'' বলেন তিনি৷

পুবের প্রতি শলৎসের অনুভূতির অভাব

জার্মান চ্যান্সেলর তার প্রস্তাব সম্পর্কে খুব বেশি উত্সাহ জাগাতে পারেননি৷ তার বক্তৃতার সময় কোনো হাততালি ছিল না, শুধু শেষে হালকা করতালি ছিল৷ বার্লিন থেকে গঠনমূলক সমঝোতার প্রস্তাব দিয়ে পূর্ব ইউরোপীয়দের বোঝানোর পরিবর্তে তিনি আইনের শাসন নিয়ে কথা বলেছেন - যা একটি স্পর্শকাতর বিষয়৷ হুমকির পরিবর্তে তার আস্থার প্রচার করা উচিত ছিল৷ পূর্ব ইউরোপের অনেকেই মনে করেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর থেকে একটি নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে জার্মানির বিশ্বাসযোগ্যতা মারাত্মকভাবে কলঙ্কিত হয়েছে৷

পূর্ব ইউরোপের প্রতি শলৎসের পর্যাপ্ত অনুভূতির অভাব এখনও থেকে গেছে, যা আগের চেয়ে এখন আরও গুরুত্বপূর্ণ হবে৷ চ্যান্সেলরের একটি আধুনিক ইইউর জন্য স্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গী আছে৷ কিন্তু তিনি যদি পুবের মন জয় করতে না পারেন তাহলে তিনি একজন জার্মান স্বপ্নদ্রষ্টা ছাড়া আর কিছুই হতে পারবেন না৷

রোজালিয়া রোমানিয়েক/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য