1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ওভাল টেস্টে চূর্ণ ইংল্যন্ড পাকিস্তানের কাছে

২২ আগস্ট ২০১০

রেকর্ডবুকের জন্য দারুণ খবর৷ ইংল্যন্ডের জন্য মস্ত দুঃসংবাদ৷ পাকিস্তানের কাছে ওভাল টেস্টে চার উইকেটে হেরে মাথা নত হয়ে গেছে ইংল্যন্ডের৷ খেলাটা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ছিল টানটান৷

https://p.dw.com/p/OtKF
পাকিস্তানের জন্য এই জয় বাড়তি আনন্দেরছবি: ap

পাঁচ বছর পর ইংল্যন্ডকে টেস্টে হারাল পাকিস্তান৷ শেষবারটা ছিল ২০০৫ সালে লাহোরে৷ ইংল্যন্ডের সামনে এখন আশেজ ট্রফি৷ তার ঠিক মুখে খেলতে আসা পাকিস্তানের সঙ্গে চলতি টেস্ট সিরিজে শনিবারের জয়ের পর অনেকটাই এগিয়ে থাকল পাকিস্তান৷ আর মনোবলে বেজায় চোট ব্রিটিশদের৷ বিখ্যাত অহংকার আর প্রবল আত্মসম্মানেও বড়মাপের চোট৷

৬ উইকেটে ১৪৬ রানে এগিয়ে ছিল ইংল্যন্ড৷ দ্বিতীয় ইনিংসে৷ সেখান থেকে দিনের শুরুতে খেলতে নেমে ইংল্যন্ডের শেষ জুড়ি মাত্র চার বল টিঁকতে পেরেছে৷ যোগ করেছে একটি মাত্র রান৷ আর এই টেস্টেই পাকিস্তানের মহম্মদ আমির তাঁর জীবনের সেরা বোলিং না হলেও এ পর্যন্ত কেরিয়ারের সেরা বোলিংটা করে গেলেন বোধহয়৷ এক ইনিংসে মাত্র ৫২ রান দিয়ে তাঁর ঝোলায় মোট পাঁচখানা ইংলিশ উইকেট৷ গড়টা মন্দ নয়৷ তাই না?

ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই অ্যান্ডারসনের হামলায় উইকেট খোয়ায় পাকিস্তান৷ কিন্তু সালমানের ৪৮ আর মোহাম্মদ ইউসুফের ৩৩ রানের ইনিংস দুটোর পর পাকিস্তান অনেকটা স্বচ্ছন্দ জায়গায় চলে যায় দ্রুতই৷ ইউসুফ বোল্ড হন অ্যান্ডারসনের বলেই৷ পরে ইংল্যন্ডের নতুন বোলার সোয়ানও একখানা উইকেট তুলে নেন৷ কিন্তু পাকিস্তান শনিবার জিততেই নেমেছিল৷

শুরুতে রেকর্ডবুকের কথা বলেছিলাম৷ কারণ, পাকিস্তানের এই বিজয়টা উৎসর্গ করা হয়েছে দুই কোটি বন্যাদুর্গতদের উদ্দেশে৷ সেটাও থাকবে রেকর্ডবুকে৷ দেশের দুর্দিনে এ খবরটা একটু হলেও আনন্দের৷ আর ইংল্যন্ডের দুর্বলতা যে আবার বোলিং সেটা প্রমাণ হয়ে যাওয়ার পর অ্যাশেজের আগে তারা কী একটু নিজেদের শোধরাবে না? ব্রিটিশ প্রেস কিন্তু তুলোধোনা করতে ছাড়বে না জাতীয় দলকে৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম