1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ওবামার সঙ্গে আজ বৈঠকে বসছেন ক্যামেরন

২০ জুলাই ২০১০

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরনের প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর৷ ওবামার সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে তিনি বিপি এবং লকারবি মামলা নিয়ে মার্কিন ক্ষোভকে প্রশমিত করতে চেষ্টা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/OPY6
ক্যামেরন,ওবামা,বৈঠক,ব্রিটিশ,বিপি,Obama,Barack,Cameron,David,MeetingWall street,ওয়াল স্ট্রিট,ব্রিটেন,অ্যামেরিকা,USA,Britain,Journal,Visit,সফর,দাসসুলভ,জাতীয়
ক্যামেরনের কাঁধে ওবামার হাত৷ এই ছবি জিএইট বৈঠকের৷ছবি: AP

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এবং ক্যামেরন

অ্যামেরিকার উদ্দেশে যাত্রা করার আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন অ্যামেরিকা ব্রিটেন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘বাস্তবসম্মত' অবস্থান নেবেন বলে মন্তব্য করেছেন ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত একটি লেখায়৷ ক্যামেরনের এই মন্তব্য প্রাসঙ্গিক৷ কারণ, ব্রিটেনকে মার্কিন জোটসঙ্গি হিসেবে ‘জুনিয়র' বলে ব্যাখ্যা করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দাবি, তাই বলে তাঁর স্বদেশের দৃষ্টিভঙ্গী এবং মূল্যবোধকে ওবামার সঙ্গে আলোচনার সময় মাথায় রাখবেন তিনি৷ সেই বক্তব্য তিনি প্রকাশ করতে পিছপা হবেন না৷

ক্যামেরন আসলে কী বলতে চাইছেন

গত মে মাসে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবার যুক্তরাষ্ট্র যাত্রার প্রাক্বালে ক্যামেরন খোলাখুলি বলেছেন, অ্যামেরিকার সঙ্গে ‘দাসসুলভ' সম্পর্ক রাখতে আগ্রহী নয় তাঁর সরকার৷ বিশ্ব পরিস্থিতিতে যেসব ক্ষেত্রে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে কাজ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, সেসব ক্ষেত্রে নিজেদের স্বকীয়তা বজায় রেখেই কাজ করতে চায় ব্রিটেন৷ ক্যামেরন বুঝিয়ে দিয়েছেন সেই বক্তব্যই অত্যন্ত খোলা ভাষায়৷ দুদেশেরই জাতীয় স্বার্থের বোঝাপড়া রয়েছে দীর্ঘদিনের, বলেছেন তিনি৷ সেই স্বার্থের পরিপন্থী কোন পরিস্থিতি নিশ্চয়ই স্বাগত হতে পারে না৷

Barak Obama Besuch Arbeiter Öl Mexiko Katastrophe Flash-Galerie
বিপি কান্ডের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে ওবামা৷ বৈঠকে এই বিষয়টি মুখ্য হয়ে উঠবেই৷ছবি: AP

সমস্যা দেখা দেবে বিপি আর লকারবি মামলা নিয়ে

বস্তুত মেক্সিকো উপসাগরের সাগরতলে তেল লিকের ঘটনায় ব্রিটিশ তেলসংস্থা বিপির পরিস্থিতি এই বৈঠককে প্রভাবিত করবে এমন ইঙ্গিত করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ কারণ, ওবামা পরিবেশের এই বিপুল ক্ষতিতে রীতিমত ক্ষিপ্ত৷ এই প্রসঙ্গে ক্যামেরন কীভাবে বিপিকে সমর্থন জানান, সেটা অবশ্যই লক্ষ্যণীয়৷ আর রয়েছে, লকারবি বোমা হামলায় জড়িত মেগরাহির মুক্তি প্রসঙ্গ৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন এই বৈঠকের আগেই বিষয়টিকে খুঁচিয়ে তুলেছেন৷

এই বৈঠকে যেসব বিষয় উঠতে চলেছে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের প্রথম সরকারি বৈঠকে অতএব মেগরাহির মুক্তি, আফগানিস্তান যুদ্ধ এবং বিপি'র তেল দুর্ঘটনা প্রসঙ্গ উঠে আসবেই বলে মনে করা হচ্ছে৷ আফগানিস্তান প্রসঙ্গে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আগাম জানিয়ে রেখেছেন, সেদেশ থেকে সেনা প্রত্যাহারের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা করবেন তিনি৷ এর বাইরে দুই নেতার মধ্যে কথা হবে বিশ্বজোড়া আর্থিক মন্দার প্রসঙ্গ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়েও৷

ওয়াশিংটন থেকে অন্যত্রও যাবেন ক্যামেরন

দুদিনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন ক্যামেরন৷ ওয়াশিংটন ছাড়াও নিউ ইয়র্কেও যাবেন তিনি৷ তারপর যাবেন তুরস্ক এবং ভারত সফরে৷

প্রতিবেদন : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা : হোসাইন আব্দুল হাই