ওবামার রেকর্ড ঘাটতির বাজেট
২ ফেব্রুয়ারি ২০১০২০১১ সালের বাজেটে চাঁদে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা বর্জন করা হয়েছে, রিপাবলিকান সেনেটর রিচার্ড শেলবি যাকে বলেছেন, মার্কিন মানব মহাশূন্য যাত্রার শবযাত্রা৷ দ্বিতীয় চোখে পড়ার মতো অঙ্গ হল, বাজেট ঘাটতি, যা ২০১০ সালে রেকর্ড ১.৬ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছনোর পর ২০১১-য় ১.৩ ট্রিলিয়ন ডলারে নামবে৷ তৃতীয়ত, বেকারত্ব বৃদ্ধির বিরুদ্ধে সংগ্রাম৷ ওবামা সোমবার তাঁর বক্তৃতায় স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে, মার্কিন অর্থনীতি গত দু'বছরে ৭০ লক্ষ চাকুরি খুইয়েছে৷ কাজেই এবার চাকুরি সৃষ্টিতে ১০০ বিলিয়ন ডলার ঢালা হচ্ছে৷ অপরদিকে বাজেটের ভবিষ্যদ্বাণী হল, বেকারত্ব বর্তমানের ১০ শতাংশ থেকে ২০১১ সালে গড়ে ৯.২ শতাংশে দাঁড়াবে, এবং ২০১২ সালে আরো এক শতাংশ কমে ৮.২ শতাংশে - কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে যাকে শম্বুকগতি বলা চলতে পারে৷ - তবে প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে এই বাজেট কিছুটা বেশী মাত্রায় আশাবাদী: ২০১০-এ ২.৭ শতাংশ এবং ২০১১-য় ৩.৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে৷
সবুজ তকমা
২০১১-র বাজেটে আগামী ১০ বছরে সাধারণ পরিবার এবং ছোট ছোট শিল্প-ব্যবসায়ের জন্য ৩০০ বিলিয়ন ডলারের বেশী কর ছাঁটাই-এর পরিকল্পনা করা হয়েছে৷ অপরদিকে বাজেট ঘাটতি কমানোর প্রচেষ্টাও রয়েছে: ১২০টি সরকারি কর্মসূচী বাদ পড়ছে, যার মধ্যে চাঁদে মানুষ পাঠানোও রয়েছে৷ ওবামা প্রশাসন তাদের সবুজ তকমাও বিস্মৃত হয়নি: একদিকে চলবে ‘সবুজ' জ্বালানি শক্তির বিকাশ, অপরদিকে আগামী ১০ বছরে খনিজ তেল, গ্যাস এবং কয়লা কোম্পানিগুলির প্রতি ভরতুকি কমিয়ে ৪০ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করা হবে৷
যুদ্ধ এবং শান্তি
গত বড়দিনে একটি মার্কিন যাত্রীবাহী বিমানের উপর ইয়েমেনি সন্ত্রাসীদের হামলার প্রচেষ্টার পর স্বদেশ নিরাপত্তায় কোনো কাটছাঁট না করে, সেই খাতে বরাদ্দ কিছুটা বাড়ানো হয়েছে৷ ২০১১ সালে বিদেশে মার্কিন সামরিক কার্যকলাপের জন্য ধার্য করা হয়েছে প্রায় ১৬০ বিলিয়ন ডলার, ২০১০ সালের বাজেটে যা ছিল কিনা ১৩০ বিলিয়ন ডলার৷ এছাড়া প্রশাসন আরো ৩০ বিলিয়ন ডলার চাইছে শুধুমাত্র যুদ্ধফেরৎ সৈনিকদের শারীরিক ও মানসিক চিকিৎসার জন্য৷ সেই সূত্রেই বলতে হয় যে, ওবামার বিশেষ আদরের স্বাস্থ্য পরিষেবা সংস্কার কিন্তু এবার কিছু মামুলি পরিবর্তনেই সীমিত রাখা হয়েছে: সস্তার জেনেরিক ওষুধের ব্যবহার এবং মেডিকেয়ার স্বাস্থ্যবীমার আওতায় ডাক্তারদের প্রতি পেমেন্টে কিছু রদবদল, এর বেশী কিছু চোখে পড়ে না৷
প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম