1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন ভাষণ

এসবি/ডিজি (রয়টার্স, ডিপিএ)৩১ জানুয়ারি ২০১৮

প্রথম ‘স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন' ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অ্যামেরিকায় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন৷ তবে অভিবাসনসহ অনেক বিভাজনমূলক নীতি থেকে সরে আসতে নারাজ তিনি৷

https://p.dw.com/p/2rnsN
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
ছবি: Reuters/W. McNamee

তর্জনগর্জন কিছুটা কমিয়ে সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বেশ কিছু ক্ষেত্রে আপোষের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন৷ সুইজারল্যান্ডের ডাভোসের পর প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম ‘স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন' ভাষণেও সেই মনোভাব দেখা গেল৷ দেশে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করে অ্যামেরিকার সব মানুষের জন্য ইতিবাচক পদক্ষেপের কথা বললেন ট্রাম্প৷

একদিকে তিনি নিজের সমর্থকদের আশ্বাস দিতে কিছুটা তর্জনগর্জন করলেও অন্যদিকে বাকিদের মন জয় করার চেষ্টাও চালিয়েছেন৷ অভিবাসন, বাণিজ্য, পররাষ্ট্র নীতি থেকে শুরু করে জাতীয় সংগীত নিয়ে কড়া কথা শোনালেও সেইসঙ্গে এমন কিছু বিষয়ের উল্লেখ করলেন, যা বাকি ভোটারদের পছন্দ হতে পারে৷ ‘ড্রিমার্স' কর্মসূচির আওতায় থাকা বেআইনি তরুণ অভিবাসীদের সাহায্য করতে চান ট্রাম্প৷ অবকাঠামোর উন্নয়ন, কারাগার ব্যবস্থার ঢালাও সংস্কারের মতো বিষয় উল্লেখ করেন তিনি৷

দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক সাফল্যের জন্য বাহবা কুড়াতে কার্পণ্য করেন নি ট্রাম্প৷ কর্মসংস্থান ও বেতন-মজুরির হার বেড়ে চলায় তিনি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন৷ ট্রাম্প দাবি করেন, তাঁরই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের ফলে অর্থনীতি চাঙ্গা হয়ে উঠছে৷ বলা বাহুল্য, পূর্বসূরি বারাক ওবামার আমলেই অর্থনৈতিক উন্নতির উল্লেখ করেননি তিনি৷

ট্রাম্প মুখে যা বললেন, তা কাজে পরিণত করে দেখাতে পারবেন কি? এর আগেও তাঁকে দ্রুত মতবদল করতে দেখা গেছে৷ বিশেষ করে লাগামহীন টুইট বার্তায় তিনি প্রায়ই নিজের সাফল্য খর্ব করে থাকেন৷ আগামী কয়েক সপ্তাহে তাঁকে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যার মধ্যে তাঁর প্রকৃত মনোভাবের প্রতিফলন ঘটবে৷ ৯ মাস পর সংসদ নির্বাচনের উপরেও তাঁর সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়তে বাধ্য৷ রিপাবলিকান দল কংগ্রেসের দুই কক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালে ট্রাম্প-এর পক্ষে কোনো আইন অনুমোদন করানো কঠিন হয়ে পড়বে৷ বর্তমানে সেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা সত্ত্বেও তাঁকে বার বার বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে৷

‘স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন' ভাষণের একটা বড় অংশ জুড়ে অভিবাসন নিয়েই কথা বললেন ট্রাম্প৷ এই প্রশ্নে এখনো নিজের কড়া অবস্থানে অটল রয়েছেন তিনি৷ মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর গড়তে তিনি বদ্ধপরিকর৷ অভিবাসনের নিয়মকানুন আরও কড়া করতে তিনি ডেমোক্র্যাট দলের সমর্থনের ডাক দিয়েছেন৷ ‘ড্রিমার্স' কর্মসূচির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কিছুটা নরম মনোভাব দেখালেও তাঁর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কী হবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়৷

ট্রাম্প জানিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের দোহাই দিয়ে তিনি গুয়ান্তানামো কারাগার বন্ধ করার প্রক্রিয়া থামিয়ে দিয়েছেন৷ উল্লেখ্য, বারাক ওবামা শেষ পর্যন্ত এই মর্মে তাঁর প্রতিশ্রুতি পালন করতে পারেননি৷ ট্রাম্প বলেন, গুয়ান্তানামো থেকে ছাড়া পেয়ে সন্ত্রাসীরা সশস্ত্র সংগ্রামে নেমে পড়ে৷ মার্কিন সৈন্যদের আবার যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের খতম করতে হয়৷

নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি পালন করতে অ্যামেরিকার অবকাঠামোর ঢালাও উন্নয়ন করতে চান ট্রাম্প৷ এর জন্য দেড় লক্ষ কোটি ডলার বরাদ্দ করতে কংগ্রেসের অনুমোদন লাগবে৷ তিনি বিরোধী ডেমোক্র্যাটদের উদ্দেশ্যে এক্ষেত্রে সহযোগিতার ডাক দিয়েছেন৷