1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এশিয়ায় শ্রমিক অসন্তোষ, বিপাকে মহাজনরা

২২ সেপ্টেম্বর ২০১০

বিশ্বের বড় বড় ব্রান্ডগুলো একসময় চীন ছেড়ে বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, ভারত কিংবা ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশে ছুটেছিল৷ কারণ একটাই, চীনে পণ্য প্রস্তুতে খরচ বেশি৷ তাই বিকল্পের খোঁজ এসব দেশে৷

https://p.dw.com/p/PIn2
চীনের বদলে এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোর দিকে নজর মহাজনদের (ফাইল ফটো)ছবি: AP

কিন্তু বিপত্তির কী শেষ আছে৷ বরং এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোতেও এখন চলছে শ্রমিক অসন্তোষ৷ বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, ভারতের মতো দেশে শ্রমিকরা চায় আরো বেশি মজুরি৷ নতুবা ভাঙচুর, ধর্মঘট, বিক্ষোভ- কোনটাতেই আপত্তি নেই তাদের৷

কম্বোডিয়ার কথাই ধরুন৷ গ্যাপ, বেনেটন, আডিডাস আর পুমার মতো ব্রান্ডের মহাজনরা খরচ বাঁচাতে বেছে নেন এশিয়ার এই দেশটিকে৷ চলছিল ভালোই৷ কিন্তু দিনকয়েক আগে সেখানে শুরু হয় ব্যাপক শ্রমিক অসন্তোষ৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শ্রমিকদের ২০ শতাংশ বেতন বাড়ানোর ঘোষণা দেয় মালিকরা৷ কিন্তু তাতে যেন আগুনে ঘি পড়লো৷ ২০ শতাংশ নয়, শ্রমিক সংগঠনগুলোর দাবি, ন্যূনতম বেতন হতে হবে মাসে ৯৩ মার্কিন ডলার৷ শেষমেষ পোশাক আর পাদুকা শ্রমিকদের বেতন ধার্য হয় মাসে ৬১ মার্কিন ডলার৷

Proteste der Textilarbeiter in Bangladesch
পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলন দেখা যায় বাংলাদেশেও (ফাইল ফটো)ছবি: AP

কম্বোডিয়ার এই আন্দোলনের বহু আগে থেকেই বাংলাদেশে চলছিল শ্রমিক অসন্তোষ৷ পশ্চিমা পোশাক বোনা প্রায় ৩০ লাখ বাংলাদেশি শ্রমিকের আন্দোলন ছিল বেতনসহ সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর৷ কিন্তু শুরুতে পোশাক কারখানার মালিকরা সে দাবি গ্রাহ্য করেনি৷ ফলাফল ভাঙচুর, গাড়ি পোড়ানো আর বিক্ষোভ৷ শেষমেষ সরকার পোশাক শ্রমিকদের বেতন ধার্য্য করে মাসে ন্যূনতম তিন হাজার টাকা৷

তবে এই মজুরিও যথেষ্ট নয় বলে জানান পোশাক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের শহিদুল ইসলাম সবুজ৷ তাঁর দাবি, শ্রমিকদের বেতন হওয়া উচিত ন্যূনতম পাঁচ হাজার টাকা৷

অবশ্য শ্রমিক আন্দোলনের মাঝেও বাংলাদেশ থেকে পোশাক রপ্তানির পরিমাণ এবছর বেড়েছে ২৫ শতাংশ৷ মূলত খরচ বাঁচানোর তাগাদায় থাকা চীন বিমুখ মহাজনরা বাংলাদেশের দিকে ঝুঁকছে বলেই মত বাজার পর্যবেক্ষকদের৷

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, চীনের মতো এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোতেও শ্রমিকের মজুরি বাড়ছে৷ কিন্তু তারপরও তা চীনের কাছাকাছি পৌঁছায়নি৷ কেননা, বর্তমানে যেখানে চীনে শ্রমিক প্রতি ন্যূনতম খরচ ১৬৬ মার্কিন ডলার, সেখানে বাংলাদেশে খরচ মাত্র ৪৩ মার্কিন ডলার৷ তাই, শ্রমিক অসন্তোষে বিপত্তি বাড়লেও মহাজনদের চোখ কিন্তু সরছে না বাংলাদেশের ওপর থেকে৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই