এর্দোয়ানকে হটাতে চান যারা
চলতি বছর জুনের মধ্যে তুরস্কে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা৷ ঐ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়্যিপ এর্দোয়ান ও তার একেপি পার্টিকে হারাতে একটি বিরোধী জোট তৈরি হচ্ছে৷
কেমাল কিলিচদারোলু
৭২ বছর বয়সি সাবেক আমলা কিলিচদারোলু তুরস্কের প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি সিএইচপির প্রধান৷ এর্দোয়ান নিয়মিত যাদের সমালোচনা করতে পছন্দ করেন তাদের একজন কিলিচদারোলু৷ জাতীয় নির্বাচনে তার দলের ২২ থেকে ২৬ শতাংশ সমর্থন আছে বলে মনে করা হয়৷ ২০১৭ সালে তার দলের এক সাংসদকে জেল দেয়ার প্রতিবাদে আঙ্কারা থেকে ইস্তাম্বুল পর্যন্ত মিছিল করে আলোচিত হন তিনি৷
মেরাল আকসেনার
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আকসেনার তার দল এমএইচপি পার্টির (এর্দোয়ানের দলের জোটসঙ্গী) শীর্ষ নেতা দেভলেত বাচেলিকে হটানোর পরিকল্পনা করে ব্যর্থ হয়ে ২০১৬ সালে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন৷ এরপর তিনি আইওয়াইআই (ভালো) পার্টি গঠন করে ২০১৮ নির্বাচনে সিএইচপির সঙ্গে জোট করেন৷ বর্তমানে ৬০০ আসনের মধ্যে ৩৬ জন সাংসদ তার দলের৷ তিনি তুরস্ককে আবারও সংসদীয় গণতন্ত্রে ফিরিয়ে নিতে চান৷ ২০১৮ সালে এর্দোয়ান প্রেসিডেন্ট শাসন চালু করেন৷
একরেম ইমামোলু
২০১৯ সালে তিনি ইস্তাম্বুলের মেয়র নির্বাচিত হলে প্রথম সেই ফল বাতিল করে দেয়া হয়৷ পরে আবারও নির্বাচন হলে ইমামোলু তাতেও জিতে যান৷ ৫১ বছর বয়সি ইমামোলু সিএইচপি দলের সদস্য৷ তার দল ধর্মনিরপেক্ষতার জন্য পরিচিত হলেও মেয়র নির্বাচনের সময় তিনি কিছু রক্ষণশীল ভোটারদের টানতে সমর্থ হয়েছিলেন৷ ইস্তাম্বুলের বিভিন্ন ইস্যুতে মাঝেমধ্যে এর্দোয়ানের সঙ্গে তার মতপার্থক্য হয়৷ আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি অংশ নিতে পারেন৷
মানসুর ইয়াভাশ
৬৬ বছর বয়সি আইনজীবী ইয়াভাশ এক সময় এমএইচপি পার্টি করতেন৷ পরে তিনি কিলিচদারোলুর সিএইচপি পার্টিতে যোগ দেন৷ ২০১৯ সালে তিনি এর্দোয়ানের একেপি পার্টির প্রার্থীকে হারিয়ে রাজধানী আঙ্কারার মেয়র নির্বাচিত হন৷ মেয়র হিসেবে তিনি করোনা মোকাবিলায় সাফল্য দেখিয়েছেন৷ তাই জনমত জরিপে তাকে জাতীয় পর্যায়ে এর্দোয়ানের চ্যালেঞ্জার হিসেবে দেখা যাচ্ছে৷
আলি বাবাজান
একসময় এর্দোয়ানের ঘনিষ্ট ছিলেন ৫৪ বছর বয়সি বাবাজান৷ তিনি সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রীও৷ ২০১৯ সালে একেপি পার্টি থেকে পদত্যাগ করেন৷ এরপর ডেভা পার্টি গঠন করেন৷ আইনের শাসন ও গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে তিনি সংস্কারের ডাক দিয়েছেন৷ তিনি অর্থ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীও ছিলেন৷ দায়িত্ব পালনের সময় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে ভালো সখ্যতা ছিল তার৷
আহমেট দাভুটোলু
২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত এর্দোয়ানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি৷ তবে ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে তিনি পরিচিতি পান৷ তার পররাষ্ট্রনীতি ছিল ‘প্রতিবেশীদের সঙ্গে শূন্য সমস্যা’৷ তবে আরব বসন্তের সময় তার মধ্যপ্রাচ্য কৌশল পথ হারিয়ে ফেলে৷ বর্তমান প্রেসিডেন্ট ব্যবস্থারও ঘোর সমালোচক তিনি৷ ২০১৯ সালে একেপি থেকে পদত্যাগ করে তিনি গেলেচেক পার্টি গড়ে তোলেন৷