1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এবার সেমিফাইনালে মুখোমুখি ভারত- পাকিস্তান

২৫ মার্চ ২০১১

খেলাটা হয়েছিল গতকাল রাতে৷ ভারতের আহমেদাবাদের সর্দার প্যাটেল স্টেডিয়ামে৷ খেলার দুই পক্ষের এক পক্ষে ছিল সাবেক চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া আর অন্য পক্ষে ভারত৷ খেলার শুরুতে টসে জিতে ছিল অসিরা৷ কিন্তু শেষে হারলো তারাই৷

https://p.dw.com/p/10h8e
ছবি: picture alliance/dpa

বিশ্বকাপ ক্রিকেটের দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে অধিনায়ক রিকি পন্টিংয়ের শতকের সুবাদে ৬ উইকেটে ২৬০ রান করে অস্ট্রেলিয়া৷ জবাবে ব্যাট করতে নেমে শচীন টেন্ডুলকার, গৌতম গম্ভির ও যুবরাজ সিংয়ের অর্ধশতকের সুবাদে ২৮৬ বলে অর্থাৎ ৪৭ ওভার ৪ বলে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্য ২৬১ রানে পৌঁছে যায় ভারত৷ তাহলে কার সঙ্গে খেলবে ভারত সেমিফাইনালে?

অস্ট্রেলিয়া-ভারতের খেলার আগে এই প্রশ্নটি করা হয়েছিল পাকিস্তান দলের কোচকে৷ তিনি বলেছিলেন, যেই জিতুক, তার সঙ্গেই খেলবে পাকিস্তান৷ কোন ভয় নেই, কোন শঙ্কা নেই! খেলার মাঠেই দেখা হবে প্রতিপক্ষের সঙ্গে৷ সেই প্রতিপক্ষ যে ভারত হবে - তা কী জানতেন প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনালের টিকিট পাওয়া পাকিস্তান দলের কোচ ওয়াকার ইউনুস?

অনেকে আগেই ভেবেছিলেন, হয়তো মুখোমুখি হতে পারে উপমহাদেশের দুটি দলের৷ কিন্তু সেমিফাইনালেই যে দেখা হবে - তা কিন্তু ভাবেননি৷ টানা তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সেমিফাইনালে ওঠে ভারত৷ ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপের পর এবারই প্রথম সেমিফাইনালের আগেই বিদায় নিল টানা তিনবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া৷ সেমিফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের খেলা ৩০ মার্চ৷ খেলাটি অনুষ্ঠিত হবে পাঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে৷

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দলপতি রিকি পন্টিংয়ের বিশ্বকাপে ব্যক্তিগত ৫ম সেঞ্চুরির সুবাদে ২৬০ রানের ফাইটিং স্কোর গড়ে অস্ট্রেলিয়া৷ নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে অসিরা ৬ উইকেট হারিয়ে এ রান করতে সক্ষম হয়৷ পন্টিং ১১৮ বলে ১০৪ রান করে অশ্বিনের বলে আউট হয়ে যান৷

এরপর ব্যাট হাতে নামে ভারত৷ অসিদের পক্ষে কোন বোলারই ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের ওপর তেমন প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি৷ ব্রেট লি, শন টেইট, শেন ওয়াটসন ও ডেভিড হাসি প্রত্যেকে ১টি করে উইকেট লাভ করেও দলের পরাজয় রুখতে ব্যর্থ হন৷ এই ম্যাচেই শচীন তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৯৩ তম ও বিশ্বকাপের ১৪তম হাফ সেঞ্চুরি৷ খেলা শেষে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন যুবরাজ সিং৷ কারণ, ষষ্ঠ উইকেটে এই যুবরাজ সিংই সুরেশ রায়নাকে সঙ্গে শক্ত জুটি গড়ে তুলেছিলেন৷ তাদের অবিচ্ছিন্ন ৭৪ রানের জুটিতে ভর করেই জয় তুলে নেয় ভারত৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী