এডিপি খরচ করতে হবে দক্ষতার সঙ্গে
৩০ মে ২০১১প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসন্ন বাজেটে ৪৬ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন করেন একদিন আগে৷ যা গত বজেটের চেয়ে ১৯ ভাগ এবং সংশোধিত বাজেটের চেয়ে প্রায় ২৮ ভাগ বেশি৷ এডিপি'তে ৭৭টি নতুন প্রকল্পসহ ১০৩৯টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে৷ এছাড়া, এডিপি'র ৫৯ ভাগ অর্থের যোগান দেয়া হবে অভ্যন্তরীন উৎস থেকে৷ অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ মনে করেন, এডিপি বাস্তবায়নে প্রথমে সক্ষমতা অর্জন করতে হবে৷ আর তা যেনতেনভাবে রাজনৈতিক বিবেচনায় বাস্তবায়ন করলে চলবেনা৷
এডিপি'র ৬০ ভাগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে এ বছর৷ সাবেক অর্থ সচিব ড. আকবর আলি খান জানিয়েছেন যে, বাস্তবায়নের সমস্যা শুধু এডিপির ক্ষেত্রে নয়৷ এবার যে বড় বাজেটের কথা বলা হচ্ছে, সেখানেও একই সমস্যা দেখা দেবে৷ তাই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে৷
আসন্ন বাজেটের এডিপি'তে সর্বোচ্চ বারাদ্দ দেয়া হয়েছে বিদ্যুত ও জ্বালানি খাতে৷ এরপর যথাক্রমে রয়েছে পরিবহন ও যোগাযোগ এবং শিক্ষা৷ সিপিডি'র নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এই বরাদ্দ বিনিয়োগের জন্য সহায়ক হবে কিনা - তা বিবেচনা করে দেখতে হবে৷ তাঁদের মতে বিনিয়োগ, প্রবৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন অনেকাংশেই এডিপি বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করে৷ তাই বাজেটে এডিপি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা থাকা প্রয়োজন৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ