খবরে প্রকাশ, চলতি বছরের শেষ সপ্তাহে কিংবা আগামী ২০২৪ সালের শুরুতে অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এক বছর ‘চোখ-কান খোলা রাখবে' দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আমাদের প্রশ্ন- দুদক কি এতদিন চোখ-কান বন্ধ রেখেছিল? কার কথায় খুলছেন বলে দাবি করছেন, বলবেন কি?
মঙ্গলবার দুদক কার্যালয়ে সংস্থাটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ সাংবাদিকদের এ কথা বলেন৷ জোর দিয়ে তিনি আরো বলেন, বিশেষ করে যারা সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হবেন, তাদের হলফনামার বিষয়টি নজরদারি করা হবে। মানে কী? কারণ কী? কেন? সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হলে হলফনামার বিষয়ে নজর দেবেন, এর মাঝে এত বছর যে গেল, এখনো নজর দিতে বাধা কোথায়? 'নাদের আলী আমি আর কত বড় হব?'
সাংবাদিকদের কয়েকটি প্রশ্নের জবাবে দুদকের চোখ আর কানের এখনকার অবস্থা সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা পাওয়া যায়৷ যেমন, সম্প্রতি আলোচিত দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খানের ‘অর্থপাচার' প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ‘‘এমন কোনও তথ্য তাদের কাছে নেই, পেলে কাজ করবে দুদক।''
মঙ্গলবারের সম্মেলনেই বেসিক ব্যাংক দুর্নীতি নিয়ে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘মামলাগুলো চলমান।'' এ নিয়ে আর কোনো প্রশ্নের জবাব দিতে রাজি হননি তিনি।
দুদক চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘‘আদালতে দুর্নীতির মামলা প্রমাণে আগের বছরগুলোর তুলনায় আমরা অনেক এগিয়েছি। এফআরটি বা ফাইনাল রিপোর্ট কমেছে। মামলার সংখ্যা বাড়ছে।''
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দুদকের কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান বলেন, ‘‘বিগত বছরগুলোর চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে।''
দুদকের আরেক কমিশনার মো. জহুরুল হক বলেন, ‘‘দুদক কী কাজ করেছে, রেকর্ড-পত্রেই তার প্রমাণ রয়েছে। বিশেষ করে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রকে অর্থ আদায় করে দেওয়ার মতো ভালো কাজ করেছে দুদক। কাউকে জেল খাটানোর চেয়ে জরিমানা আদায় করা লাভজনক।''
দুদকের এই কমিশনার আরো বলেন, ‘‘শতভাগ না হলেও দুদকের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি অনেক কমেছে।'' দুদক নিয়ে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর পর্যবেক্ষণ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘তারা মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। সঠিক তথ্য দেয়নি।''