এক নজরে ‘লক্ষ্য পূরণের’ বাজেট
২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে৷ আওয়ামী লীগের টানা তৃতীয় মেয়াদের প্রথম এই বাজেটের আকার পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা৷ বাজেটের নানা দিক জেনে নিন ছবিঘরে৷
বাজেটের আকার
২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল৷ নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত ব্যয় বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১৮ শতাংশ বেশি৷ ‘সমৃদ্ধ আগামী’ শিরোনামের বক্তৃতায় এটাকে রাজস্ব আয় বাড়ানোর ‘লক্ষ্যমাত্রা পূরণের’ বাজেট হিসাবে অভিহিত করেছেন অর্থমন্ত্রী৷
৮.২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য
প্রস্তাবিত বাজেটে নতুন অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করা ৮ দশমিক ২০ শতাংশ৷ চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ছিল ৭ দশমিক ৮ শতাংশ৷ টাকার অংকে এবার জিডিপি ধরা হয়েছে ২৫ লাখ ৩৭ হাজার ৮৪৯ কোটি টাকা৷
আয়ের খাত
নতুন অর্থবছরের সম্ভাব্য ব্যয়ের ৭২ শতাংশ রাজস্ব খাত থেকে পূরণের লক্ষ্য ধরা হয়েছে৷ টাকার অংকে রাজস্ব খাতে আয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮১০ কোটি টাকা৷ এর বাইরে এনবিআর-বহির্ভূত করব্যবস্থা থেকে ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা এবং বিভিন্ন সেবামূলক থেকে ৩৭ হাজার ৭১০ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে৷ বাজেটে মোট ঘাটতি ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা৷
যেসব পণ্যের দাম বাড়ছে
বাজেটে শুল্ক বাড়ানোর ফলে বেশ কিছু পণ্যের দাম বাড়তে পারে৷ এর মধ্যে রয়েছে- স্মার্টফোন, প্যাকেটজাত তরল দুধ, গুঁড়া দুধ, আমদানি করা কাঁচা চিনি ও প্রক্রিয়াজাত চিনি, গ্লুকোজ, প্রাকৃতিক মধু, বডি স্প্রে, সব ধরনের অলিভ অয়েল, এসি মটর, প্রক্রিয়াজাত মিক্সড খাদ্য, বৈদ্যুতিক মটর, অপটিক্যাল ফাইবার কেবলস, ফ্লাস্ক, বোতল, জার, পট, গ্লাস, রান্নার ওভেন, প্লেট ও চুলা৷
দাম কমছে যেসব পণ্যের
ভ্যাট অব্যাহতির প্রস্তাব করায় ১৫০ টাকা পর্যন্ত মূল্যমানের পাউরুটি, বিস্কুট ও কেকের দাম কমতে পারে৷ এছাড়া, আমদানি শুল্ক কমানোর ফলে স্বর্ণ, তুলা বীজ, পাম নাটস, রেফ্রিজেরেটর শিল্পের স্টিল প্লেট, চার্জার কানেকটর পিন প্রভৃতির দাম কমতে পারে৷
মূল্যস্ফীতি ৫.৫ শতাংশে বেঁধে রাখার লক্ষ্য
প্রস্তাবিত নতুন বাজেটে গড় মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫ শতাংশে রাখার লক্ষ্য ঠিক করেছেন অর্থমন্ত্রী মুস্তাফা কামাল৷ আগের বছর মূল্যস্ফীতি আটকে রাখার লক্ষ্য ছির ৫ দশমিক ৬ শতাংশে৷ শেষ পর্যন্ত তা গড়ে ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ ছিল৷
করমুক্ত আয়ের সীমা আগের মতোই
২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সাধারণ করদাতাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা চলতি অর্থবছরের মতো আড়াই লাখ টাকাই আছে৷ নারী ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সি করদাতাদের ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত কর দিতে হবে না৷ প্রতিবন্ধী করদাতাদের ক্ষেত্রে এই সীমা ৪ লাখ টাকায় রাখা হয়েছে৷