একটুখানি মহাকাশে ঘুরে আসা
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশযান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভার্জিন গ্যালাকটিকের প্রতিষ্ঠাতা রিচার্ড ব্র্যানসন অনেক মানুষকে একটুখানি মহাকাশে ঘুরিয়ে আনলেন৷হ্যাঁ, বাস্তবে নয়, ভার্চুয়াল দুনিয়ায়! দেখুন ছবিঘরে...
সত্যিই যেন ঘুরে এলাম
প্রতিটি টিকিটের দাম দুই লাখ ৫০ হাজার ডলার৷ খুব শৌখিন ধণাঢ্য না হলে এত টাকা দিয়ে মহাকাশে ঘুরে আসা কারো পক্ষেই সম্ভব নয়৷ তবে মঙ্গলবার এমন মানুসদেরও খানিকটা সেই স্বাদ দিলেন ভার্জিন গ্যালাকটিকের প্রতিষ্ঠাতা রিচার্ড ব্র্যানসন৷ বিশেষ আয়োজনে ভার্চুয়াল ভ্রমণ সেরে নিলেন অনেকে৷ অনলাইনে প্রকৃত যাত্রার খুঁটিনাটি বুঝিয়েও দিলেন ব্রিটিশ ধনকুবের রিচার্ড ব্র্যানসন৷
প্রতিবারে ছয় জন
টাকা দিয়ে মহাকাশ ভ্রমণের সুযোগ পাচ্ছেন মোট ৬০০ জন৷ জাস্টিন বিবার এবং লিওনার্ডো ডিক্যাপ্রিওর মতো সেলিব্রেটিও আছেন সেই তালিকায়৷ কবে প্রথম ফ্লাইট যাবে তা এখনো ঠিক হয়নি৷ তবে জানা গেছে, ছবির এই যানে চড়েই মহাকাশে যাবেন তারা৷প্রতি ফ্লাইটে থাকবেন ছয়জন যাত্রী এবং দু’জন বৈমানিক৷ মহাকাশে নামার পরই কেবল স্পেসশিপ টু নামের এই যান থেকে বেরোতে পারবেন যাত্রীরা৷
সবার জন্য বিশেষ আসন
স্পেসশিপ টু-তে সবার জন্যই থাকছে সর্বোচ্চ সুবিধাসম্পন্ন বিশেষ আসন৷ ফ্লাইট সম্পর্কে সব তথ্য দেখানো হবে স্ক্রিনে৷ তাছাড়া যাত্রীরা চাইলে সিটবেল্ট খুলে একটু স্পেসশিপ টু-র ভেতরে ভেসেও বেড়াতে পারবেন৷
দেখার সুব্যবস্থা
সিটগুলোর চার পাশে থাকবে ১২টি জানালা৷ জানালা দিয়ে বাইরের দৃশ্য দেখতে পারবেন যাত্রীরা৷
আংশিক বিমান, আংশিক রকেট
স্পেসশিপ টু বানানো হয়েছে জেট বিমান ও রকেটের সমন্বয়ে৷ নির্দিষ্ট উচ্চতায় ওঠার পর রকেটটি চালিয়ে দেয়া হবে, তখন থেকেই সুপারসনিক গতি পাবে মহাকাশযান৷ যাত্রাপথে ডিগবাজি খেয়ে যাত্রীদের বহু নীচের পৃথিবী দেখানোর সুযোগও করে দেবে স্পেসশিপ টু৷
দীর্ঘস্থায়ী অভিজ্ঞতা
যাত্রার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রত্যেক যাত্রীর ছবি ধারণ করবে ১৬টি স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরা৷ সুতরাং পৃথিবীতে ফিরে এলেও দুর্লভ অভিজ্ঞতা সবিস্তারে থেকে যাবে সবার কাছে৷