একগুচ্ছ ভালোবাসার গল্প
ভালোবাসার গল্পের রকম বলে শেষ করা যাবে না৷ কারণ, সবার গল্পই আলাদা৷ সেখানে দ্রোহ আছে, আছে নির্মল ভালোলাগা আর খুব গভীর কিছু মুহূর্ত৷ এই ছবিঘরে তুলে ধরা হলো সারাবিশ্বের কয়েকটি যুগলের ভালোবাসার গল্প৷
লেন্সের ভালোবাসা
‘‘১২ বছর আগে আমাদের ইন্টারনেটে পরিচয়৷ ফটোগ্রাফি আমাদের পরস্পরের কাছে এনে দেয়৷ এরপর লিসবনে আমরা একটি স্টুডিও খুলি৷ আর ছবির ভালোবাসার ম্যাজিকে হারিয়ে যাই৷’’ পর্তুগালের লিসবনের স্টুডিওতে বসে বলছিলেন রুট ও ফিলিপ যুগল৷
প্রথম দেখাতেই
এমন কি কখনো হয়েছে, প্রথম দেখাতেই মনে হয়েছে ঐ তো সে? চুম্বকের মতো কোনো আকর্ষণে ছুটে গেছেন তাঁর দিকে৷ নিউইয়র্কের অস্ট্রামের হয়েছিল এমন দশা৷ ক্লাসরুমের দরজায় জেনিকে দেখেই তাঁর ভবিষ্যৎ দেখা হয়ে গিয়েছিল৷ এর মধ্যে কত চড়াই উৎড়াই৷ শেষতক জয় হলো ভালোবাসার৷
দৃষ্টি তোমায় খোঁজে
যখন ভারতের অ্যাসিড ভিক্টিম প্রমোদিনী রাউল অনেক বছর পর তাঁর দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেলেন, তখন প্রথম যা/র মুখটি তিনি দেখেছিলেন তিনি হলেন তাঁর ভালোবাসার মানুষ সরোজ৷ ‘‘আমি যেন উড়ছিলাম৷ কখনো ভাবতেই পারিনি যে, আবার তাঁর মুখটি দেখব৷’’ বলছিলেন তিনি৷
প্রেম লিঙ্গান্তরে
লিঙ্গ বদলে পুরুষ হওয়া ২০ বছর বয়সী হায়দার স্পেনে থাকেন৷ তাঁর বান্ধবী কোরাল ইবানেজের সঙ্গে পরিচয় ইন্টারনেটে৷ কিন্তু বুঝতে পারছিলেন না পরিবারকে কিভাবে জানাবেন৷ ‘‘খুব কঠিন ছিল৷ এমনও সময় গেছে যখন মনে হয়েছে হয়তো ওকে ছেড়ে থাকতে হবে৷ কিন্তু মৃত্যুই কেবল আমাদের আলাদা করতে পারে৷’’
এ এক অ্যাডভেঞ্চার
উচ্ছ্বল দুই প্রাণ ক্যাথাল ও জেসিকা৷ ট্যাগ রাগবি খেলতে গিয়ে দু’জনের পরিচয়৷ অ্যাডভেঞ্চার ভালোবাসেন দু’জনই৷ প্রচুর ঘুরে বেড়ান৷ আয়ারল্যান্ডের একটি গ্রামে থাকেন তাঁরা৷
বাধা মানি না
মেক্সিকোর সাংবাদিক রাঝি একবার অপহৃত হন৷ উদ্ধার হয়ে ছেড়ে দেন চাকরি৷ আর শিক্ষানীতি নিয়ে কাজ করেন আলেয়ান্দ্রা৷ রাঝিকে দেখে ভালো লেগে যায় তাঁর৷ কিন্তু পরিবার তো মানে না৷ পরে অনেকটা তাদের অমতেই বিয়ে করেন এই যুগল৷ সম্প্রতি ভুমিকম্পে তাদের ঘরটিও ভেঙ্গে যায়৷ কিন্তু ভালোবাসা কমেনি এতটুকু৷
না লিঙ্গ, না বয়স
ব্যাংককের লিঙ্গান্তরিত ২৭ বছর বয়সি অমরনাথ রুয়ামসিন ১৬ বছর বয়সি পিছায়াকে বিয়ে করতে পারবেন আরো এক বছর পর৷ কারণ, তখন থাই আইন অনুযায়ী পিছায়ার বিয়ের বয়স হবে৷ তাদের পাঁচ মাস বয়সি একটি বাচ্চাও আছে৷
বার্লিনের হাসি
‘‘বার্লিনের আলটেস মিউজিয়ামে এক এক্সিবিশনে প্রথম আর্ডাকে দেখি আমি৷ অজান্তেই আমার ঠোঁটের কোণে হাসি চলে আসে৷ এক ঘণ্টার মধ্যেই আমরা একসাথে বসে কফি খাচ্ছিলাম৷ আর এখন একসাথে একটা চমৎকার ফ্ল্যাটে থাকি৷’’ টার্কিশ বংশোদ্ভুত পার্টনারকে নিয়ে বলছিলেন জার্মানির দানিয়েলা৷
এখনো এখানেই
১৯৫৮ সালে বিয়ের দিনের ছবিটি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন চীনের আশি উর্ধ্ব এই দম্পতি৷ কাজ করতেন একই প্রতিষ্ঠানে৷ সুপারভাইজার পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন৷ ভালোবাসা চলছে এখনো৷ এই বেইজিংয়েই৷
প্রথম দেখাতেই? উহু!
ঢাকার মেজবাহ ও মৌসুমী৷ দু’জনেই ডেন্টিস্ট৷ সহপাঠী ছিলেন৷ প্রথম দেখা ক্লাসেই৷ সবাই যখন নিজেদের পরিচয় দিচ্ছিলেন ক্লাসে, তখনই কি কিছু হয়ে গিয়েছিল? নিশ্চিত নন মৌসুমী৷ তবে মৌসুমীর দুর্দিনে কারণ না থাকলেও এগিয়ে গিয়েছিলেন মেজবাহ৷ দেড় বছরের মাথায় দু’জন হলেন দু’জনার৷