1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

একই মঞ্চে দুই জার্মান চ্যান্সেলর!

২৯ অক্টোবর ২০২১

একজন বিদায়ী সরকার প্রধান, আরেকজন সম্ভাব্য চ্যান্সেলর৷ আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও ওলাফ শলৎস রোমে জি-টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলনে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকগুলিতে যৌথভাবে জার্মানির প্রতিনিধিত্ব করছেন৷

https://p.dw.com/p/42KLy
জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনেও পরিবেশ নীতির ক্ষেত্রে জার্মানির ধারাবাহিকতা তুলে ধরতে চান দুই নেতা (ফাইল ছবি)ছবি: Kay Nietfeld/dpa/picture alliance

গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতার হস্তান্তর হলেও বাকি বিশ্বের প্রতি জার্মানির নীতির ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ণ থাকবে৷ বিশেষ করে জি-টোয়েন্টি গোষ্ঠীর প্রতি জার্মানির অবস্থানে কোনো বিঘ্ন ঘটবে না৷ এমন জোরালো বার্তা তুলে ধরতে বিদায়ী জার্মান চ্যান্সেলর সে দেশের আগামী সম্ভাব্য চ্যান্সেলরকে সঙ্গে নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও অন্যান্য বিশ্বনেতার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করছেন৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জার্মান সরকারের এক কর্মকর্তা জার্মানির প্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে এমন ‘ঐতিহাসিক ফরম্যাট’-এর পরিকল্পনা জানান৷ রোমে সপ্তাহান্তে জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে এমন অভিনব ঘটনা দেখা যাবে৷ রবিবার থেকে ব্রিটেনের গ্লাসগো শহরে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনেও পরিবেশ নীতির ক্ষেত্রে জার্মানির ধারাবাহিকতা তুলে ধরতে চান দুই নেতা৷

শলৎস-কে অবশ্য আলাদা করে রোমে যেতে হচ্ছে না৷ বিদায়ী সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে তিনি জি-টেয়েন্টি মঞ্চে এমনিতেই উপস্থিত থাকছেন৷ বার্লিনে জোট সরকার গঠনের লক্ষ্যে আলোচনা সফল হবে, এমনটা ধরে নিয়ে শলৎসকে ঘিরে আগ্রহও কম নয়৷ সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী চললে তিনি ডিসেম্বর মাসেই চ্যান্সেলর হিসেবে শপথ নেবেন৷ তাই জার্মানির সম্ভাব্য নতুন চ্যান্সেলরের সঙ্গে শুরু থেকেই ব্যক্তিগত সম্পর্ক গড়ে তুলতে অনেক নেতাই আগ্রহী৷ বাইডেন ছাড়াও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়িপ এর্দোয়ান, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং আর্জেন্টিনা, সিঙ্গাপুর ও দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও ম্যার্কেল ও শলৎস বৈঠকে বসছেন৷ তাছাড়া ইরান সংক্রান্ত নীতির ক্ষেত্রে সমন্বয় করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ব্রিটেন ও জার্মানির শীর্ষ নেতাদের বৈঠকেও শলৎস উপস্থিত থাকছেন৷

ভিন্ন রাজনৈতিক শিবির থেকে এলেও শলৎসের নেতৃত্ব সম্পর্কে সন্তুষ্টি গোপন করছেন না ম্যার্কেল৷ ভাইস চ্যান্সেলর ও অর্থমন্ত্রী হিসেবে শলৎস গত চার বছর ধরে ম্যার্কেলের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করেছেন৷ নির্বাচনি প্রচারের সময় শলৎস ভাবে-ভঙ্গিতে নিজেকে ম্যার্কেলের প্রকৃত উত্তরসূরি হিসেবে তুলে ধরেছেন৷ গত সপ্তাহে ম্যার্কেল বলেন, শলৎসের নেতৃত্বে আগামী সরকার গঠিত হলে তিনি নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারবেন৷

জার্মানিতে জোট সরকার গঠনের প্রক্রিয়া এমন একটা সময়ে চলছে, যখন অভ্যন্তরীণ ও পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে একাধিক সিদ্ধান্ত জরুরি হয়ে পড়ছে৷ বিদায়ী সরকারের পক্ষে কার্যনির্বাহী ভূমিকায় এমন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন৷ করোনা সংকট ও তার অর্থনৈতিক প্রভাব সামলাতে হিমসিম খাচ্ছে জার্মানি৷ একাধিক আন্তর্জাতিক সম্মেলনেও জার্মানিকে উপস্থিত থাকতে হচ্ছে৷ বিদায়ী ও সম্ভাব্য সরকারের সদস্য হিসেবে ওলাফ শলৎস এ ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা ও সমন্বয়ের প্রতীক হয়ে উঠছেন৷

এসবি/জেডএইচ (ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান