1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এএমইউ-তে মোদী: এখন মুসলিম মেয়েদের ড্রপ আউট কম

২২ ডিসেম্বর ২০২০

আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ অনুষ্ঠানে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তাঁর দাবি, মুসলিম মেয়েরা এখন কম স্কুল ছাড়ছেন।

https://p.dw.com/p/3n2eZ
শতবর্ষে পড়ল আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: Hindustan Times/Imago Images

আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় বা এএমইউ-র শতবর্ষের অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর সেখানে দাবি করলেন, তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বের সময়ে মুসিলম মেয়েদের স্কুল ছেড়ে দেয়ার হার অনেকটাই কমেছে। মোদীর দাবি, আগে মুসলিম মেয়েদের স্কুল ড্রপ আউটের হার ছিল ৭০ শতাংশ। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩০ শতাংশে। কেন এরকম হয়েছে তার একটা ব্যাখ্যাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর দাবি, আগে শৌচালয় না থাকায় মুসলিম মেয়েরা স্কুল ছেড়ে দিত। এখন পরিস্থিতি বদলে গেছে। তাই তারা স্কুল কম ছাড়ছে।

মোদীর পরামর্শ, ''আমি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বলব, আরো বেশি করে মেয়েদের শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত করুন।'' তিন তালাক নিয়ে আইন করার সময়ও মুসলিম মেয়েদের পাশে পেতে চেয়েছেন মোদী। আলিগড়ের ভাষণও বুঝিয়ে দিয়েছে, তাঁর সেই চেষ্টা জারি আছে। 

প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন, তাঁর সরকার প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে কখনো কোনো বিভেদ করে না। সব গরিবের কাছে প্রকল্পের সুফল পৌঁছয়, সেখানে ধর্মীয় বা অন্য কোনো ধরনের পক্ষপাত করা হয় না। সকলকে সঙ্গে নিয়ে এগোনোর মন্ত্রে সরকার বিশ্বাস করে। বিভেদে নয়। তাঁর বক্তব্য, মতাদর্শগত বিভেদ অত গুরুত্বপূর্ণ নয়, আসল কথা দেশ গঠন করা।

আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূয়সী প্রশংসা করে মোদী বলেন, এটা হলো মিনি ইন্ডিয়া। এখানে কোরান যেমন আছে, তেমনি রামায়ণ-মহাভারত-গীতাও আছে। স্বাধীনতা সংগ্রামে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল অবদান আছে।

তবে মোদীর এই ভাষণ নিয়েও ভরপুর বিতর্ক হচ্ছে। এর আগে যেমন বিতর্ক হয়েছিল মোদীকে এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে। সাবেক সাংসদ ও এএমইউ-র প্রাক্তনী মহম্মদ আদিব ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''মোদী তো নির্বাচনী ভাষণ দিলেন। অবশ্য তাঁর কাছ থেকে এর বেশি কিছু প্রত্যাশাও ছিল না। এএমইউ-র সমস্যা নিয়ে তিনি কিছু বলেননি। তাঁর দলের লোকেরা, স্থানীয় সাংসদ প্রায় প্রতিদিন আলিগড় ও এএমইউ-র বিরুদ্ধে কথা বলেন। অন্তত তাঁদের থামাবার জন্য প্রধানমন্ত্রী কিছু বলতেন। সেটাও তিনি বলেননি।''

মহম্মদ আদিব বলছেন, তাঁর কাছে প্রধানমন্ত্রীর কোনো কথাই ইতিবাচক মনে হয়নি। তিনি এএমইউ-র প্রশংসা করেছেন ঠিকই, কিন্তু এটা মনে রাখতে হবে, এখানে কখনো কোনো জাতীয়তা-বিরোধী কথা বলা হয়নি। সবসময় ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ অনুসরণ করা হয়েছে। তাই এখনে ঈদও হয়, জন্মাষ্টমীও পালিত হয়।

এএমইউ-র সাবেক কর্মকর্তা রাহত আবরার অবশ্য মনে করেন, ''প্রধানমন্ত্রী ইতিবাচক কথাই বলেছেন। প্রথমবার তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনে এবং জাতিগঠনে এএমইউ-র ভূমিকার কথা বললেন। এটা খুশির খবর। তিনি এএমইউ-কে মিনি ইন্ডিয়া বলে আমাদের খুশি করেছেন।''

তবে শতবর্ষেও এএমইউ-র জন্য কোনো বিশেষ অর্থসাহায্য দেয়ার কথা ঘোষণা করেননি মোদী। রাহত আবরার জানিয়েছেন, এর আগে পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় ও আরো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী যোগ দিয়েছিলেন। সেখানেও  কোনো বিশেষ অর্থসাহায্য করেননি। ফলে এ নিয়ে বিতর্ক অর্থহীন।

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই)