1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সংসদ অভিমুখে ভারতের কৃষকরা

৩০ নভেম্বর ২০১৮

ভারতের প্রায় এক লাখ কৃষক রাজধানী নয়াদিল্লিতে সংসদ অভিমুখে যাত্রা করেছেন৷ দ্রব্যমূল্য ও উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির কারণে বিপাকে পড়া এই কৃষকদের দাবি– ঋণ মওকুফ ও ফসলের ন্যায্য দাম নিয়ে সংসদে বিশেষ অধিবেশন বসুক৷

https://p.dw.com/p/39BLa
ছবি: Reuters/A. Abidi

স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে যে, দু'দিনব্যাপী এই আন্দোলনে ২০০ সংগঠনের প্রায় এক লাখ কৃষক অংশ নিয়েছেন৷ বৃহস্পতিবার সকালে তাঁরা প্রথমে আনন্দ বিহার রেল স্টেশনে জড়ো হন৷ সেখান থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লি হয়ে রামলীলা ময়দানের উদ্দেশ্যে রওনা দেন৷

সন্ধ্যায় রামলীলা ময়দানে সভায় যোগ দেন৷ শুক্রবার রামলীলা ময়দান থেকে সরাসরি সংসদভবনের উদ্দেশে রওনা দেন তারা৷

এই নিয়ে গত কয়েকমাসে দিল্লিতে তৃতীয়বার কৃষক আন্দোলনের সাক্ষী হয়েছেন৷ এর আগেও আন্দোলনের সময় প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন৷ কিন্তু কাঙ্খিত ফল পাননি তাঁরা৷ তাই মোদী সরকারের ওপর যারপরনাই ক্ষুব্ধ কৃষকরা৷

‘‘কৃষকরা প্রায়ই আত্মহত্যা করছেন,’’ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন জয় কিষাণ আন্দোলনের নেতা ইয়োগেন্দ্র ইয়াদব৷ ‘‘খুবই লজ্জার বিষয় যে, যারা আমাদের খাবারের জোগান দিচ্ছেন, তাদের কথা শোনার সময় সরকারের নেই৷’’

Bauern protestieren in Neu Delhi
ছবি: Reuters/A. Abidi

সরকারের নানা নীতির কারণে ভারতের গ্রামের মানুষের আয় বাড়েনি৷ তার ওপর কৃষিতে ভর্তুকির বদলে সরকারের বিনিয়োগনীতি গ্রহণের ফলে কৃষকরা আরো বেশি হতাশ হয়ে পড়েছেন৷

দেশটির ২ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে প্রায় ১৫ ভাগ অবদান কৃষির৷ তার চেয়েও বড় কথা হলো, কৃষির সঙ্গে দেশের ১৩০ কোটি মানুষের অর্ধেকই জড়িত৷

‘‘আমার পরিচিত অনেক কৃষকই আত্মহত্যা করেছেন৷ তাঁদের পরিবারের করুণ দশা,’’ উত্তর প্রদেশ থেকে আসা কৃষক লাখান পাল সিং বলেন রয়টার্সকে৷ ‘‘মোদী সরকারের নীতির কারণেই আজ এই অবস্থা৷’’

Bauern protestieren in Neu Delhi
ছবি: Reuters/A. Abidi

সিং বলেন, ‘‘আমরা বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলাম৷ অথচ এই সরকারের কৃষক-বিরোধী নীতিগুলো আমাদের বিপদে ফেলেছে৷’’

ভারতের ৭০ ভাগ মানুষ থাকেন গ্রামে৷ ২০১৪ সালের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী'র দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) দেশটির গত তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় জয় নিয়ে সরকার গঠন করেছে৷

এই ভোটারদের একটা বড় অংশ কৃষক৷ এদের সংখ্যা প্রায় ২৬ কোটি ৩০ লাখ৷ কৃষকদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ আগামী মে মাসের পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের ফলাফলের ওপর পড়বে বলে ধারণা করেন অনেকেই৷

জেডএ/এসিবি (রয়টার্স)

গত মার্চের ছবিঘরটি দেখুন...