উৎসব শুরু হলো ইউরোপের সাংস্কৃতিক রাজধানী টুর্কুতে
১৬ জানুয়ারি ২০১১চলতি বছর ইউরোপের সাংস্কৃতিক রাজধানী হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে ফিনল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী শহর টুর্কু এবং এস্তোনিয়ার রাজধানী তালিন৷ নতুন বছরের শুরুতেই সাংস্কৃতিক রাজধানী হওয়ার উৎসব শুরু করে দিয়েছে তালিন৷ তবে ফিনল্যান্ডের টুর্কু একটু দেরি করেই শুরু করলো৷ প্রচন্ড ঠান্ডার মধ্যে আউরা নদীর ওপর দাঁড়িয়েই হাজার হাজার মানুষ উপভোগ করলো মনোমুগ্ধকর আতশবাজি এবং অ্যাক্রোবেটিকস৷ ভাবছেন নদীর ওপর দাঁড়িয়ে কিভাবে? আসলে ঠান্ডায় গোটা আউরা নদীই এখন জমে বরফ হয়ে গেছে৷ তো গোটা বছরব্যাপী এই সাংস্কৃতিক পদযাত্রার উদ্বোধনীতে উপস্থিত ছিলেন ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট টারিয়া হালোনেন সহ নানা দেশের আমন্ত্রিতরা৷
শহর হিসেবে ইউরোপের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী শহর ফিনল্যান্ডের টুর্কু৷ ১২২৯ সালে এই শহরের গোড়াপত্তন হয়েছিল৷ তবে ১৮২৭ সালে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে প্রায় গোটা শহরই ধ্বংস হয়ে যায়৷ কিন্তু তারপর আবারও ফিনল্যান্ডের জনগণ গড়ে তোলেন তাদের পুরনো এই শহরটিকে৷ এস্তোনিয়ার সঙ্গে ফিনল্যান্ডের একটি ভাষাগত সম্পর্কও রয়েছে৷ ফিনো উগ্রিক ভাষার কারণে এই দুটি দেশের সম্পর্ক অনেক পুরনো, যদিও দেশ দুটি প্রায় দুইশ কিলোমিটার দুরত্বে অবস্থিত৷
ইউরোপের সাংস্কৃতিক রাজধানী দুটিতে এবার বসছে বিশেষ একটি আয়োজন৷ সেটি হলো নিউ বাল্টিক ড্রামা প্রকল্প৷ সহজ কথায় নাটক লেখার প্রতিযোগিতা৷ সেরা নাটকের পুরস্কার তো থাকছেই, পাশাপাশি সেরা নাটকটি টুর্কু, তালিন এবং সেইন্ট পিটাসবার্গের থিয়েটারগুলোতেও প্রদর্শিত হবে৷ এছাড়া স্বাস্থ্যের ওপর সংস্কৃতির ইতিবাচক প্রভাব কেমন সেটি প্রমাণের জন্য এবার টুর্কু ফাউন্ডেশন প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার টিকিট ছেড়েছে কেবল চিকিৎসকদের জন্য৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: জাহিদুল হক