উৎসবে থাকুন ‘স্ট্রেস ফ্রি’
যে কোনো উৎসবকে আনন্দময় করতে কেনা-কাটা করতে হয়, থাকে হাজারো দায়িত্ব৷ এখন জার্মানিতে চলছে বড়দিনের নানা প্রস্তুতি৷ এ রকম বড় আয়োজনে জার্মানরা কিভাবে ‘স্ট্রেস ফ্রি’ থাকে, জেনে নিন ছবিঘর থেকে৷
ইতিবাচক চাপ
একটি সমীক্ষায় জানা গেছে, শতকরা ৩৩ জন জার্মান বড়দিনের উৎসবের চাপকে আনন্দের বা ইতিবাচক চাপ বলে মনে করেন৷ তাঁরা বড়দিনের উৎসবকে সাফল্যমন্ডিত করার জন্য যেসব বাড়তি কাজ করেন, সেগুলো তারা সত্যিই উপভোগ করেন৷
ব্যায়াম
শতকরা ৩০ জন জানিয়েছেন, বড়দিনের আগে ও পরের চাপের মধ্যেও মাঝে মাঝে ঘরেই একটু বিশ্রাম নেন কিংবা ব্যায়াম করতে জিমে যান৷
আগে থেকেই প্রস্তুতি
উপহার দেয়া-নেয়া ছাড়া কি আর উৎসব জমে ! তাই এই আনন্দ পুরোপুরি ধরে রাখতে শতকরা ২৭জন জার্মান বড়দিনের উপহারগুলো আগে থেকেই কিনতে শুরু করে দেন৷
অনলাইনে শপিং সময় বাঁচায়
শতকরা ২৪ জন জার্মান উপহার কেনেন অনলাইন-এ, অর্থাৎ দোকানে না গিয়ে ঘরে বসেই উপহার পছন্দ, অর্ডার সবই করেন৷ দেখার পর পছন্দ না হলে দুই সপ্তাহের মধ্যে সেগুলো আবার পোস্ট করে ফেরতও পাঠিয়ে দেন৷
পবিত্র সন্ধ্যা
২৪ ডিসেম্বর রাতে যিশু খ্রিষ্টের জন্মদিন৷ এ রাতকে জার্মানিতে ‘পবিত্র রাত’ বলা হয়ে থাকে৷ এবং পুরনো ঐতিহ্য অনুযায়ী সেদিন মাছ খাওয়া হয়৷ তবে এই সমীক্ষায় শতকরা ১৭ জানিয়েছেন, পবিত্র রাতে তাঁদের খাবারের আয়োজন আগের মতো আর তেমন বড় থাকেনা৷
উপহার
উপহার আদান-প্রদান ছাড়াও উৎসবকে আনন্দময় করা সম্ভব৷ আর সে কথাই সমীক্ষায় জানিয়েছেন শতকরা ১৪ জন জার্মান৷ তাঁরা ইচ্ছে করেই আজকাল পরিবারের মধ্যে উপহার আদান-প্রদান করেন না৷
সমীক্ষাটি যারা করেছে
Mafo.de – নামে একটি বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠানের করা একটি সমীক্ষা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে৷ সমীক্ষাটিতে অংশ নিয়েছেন মোট ১০০৮জন জার্মান৷