1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উসকানি ও প্রলোভন পছন্দ করেন আফগান-জার্মান চিত্রশিল্পী

১২ নভেম্বর ২০২১

এক আফগান-জার্মান শিল্পী দুই সংস্কৃতির প্রভাবের মধ্যে সমন্বয় ঘটিয়ে এমন তৈলচিত্র এঁকে চলেছেন, যা মানুষের মনে প্রশ্ন জাগায়৷

https://p.dw.com/p/42ujq
Euromaxx | Kargar
ছবি: DW

শিল্পের বিষয় সম্পর্কে ভাবনাচিন্তা করতে উসকে দেয় দর্শকদের৷ তার ক্রেতাদের মধ্যে বিখ্যাত মানুষেরও অভাব নেই৷

বার্লিনের চিত্রশিল্পী মনজুর কারগারের ছবিতে রংয়ের বাহার, অলঙ্করণ ও খোলামেলা ভাব চোখে পড়ার মতো৷ ৫৬ বছর বয়সি এই মানুষটি আফগানিস্তানে জন্মগ্রহণ করলেও শৈশবেই জার্মানিতে এসেছিলেন৷ তার শিল্পকর্মেরউপর দুই দেশের সংস্কৃতির ছাপ স্পষ্ট৷ মনজুর বলেন, ‘‘আমি কে, কোথা থেকে এসেছি? আমার কাছে সেটা পুরোপুরি স্পষ্ট ছিল না৷ কোনো এক সময়ে আমি পুরাকীর্তি নিজের মতো করে আবিষ্কার করেছি৷ প্রাচীন কালের মতো আজকের বিজ্ঞাপন, ফ্যাশন ও হলিউডেও মানুষের সৌন্দর্য্য, তার আদর্শ রূপ তুলে ধরা হয়৷''

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তার পরিবারের একটা অংশ ছাড়াও বিখ্যাত ক্রেতারাও আছেন৷ ‘গান্স এন রোজেস' নামের মার্কিন রক গোষ্ঠীর গায়ক আক্সেল রোজ ২০ হাজার ইউরো মূল্যে ‘পিল্স ২' নামের ছবিটি কিনেছেন৷ বার্লিনে নিজের স্টুডিওতে তার বিশাল আকারের তৈলচিত্র সৃষ্টি হয়৷ নিজের শৈলি সম্পর্কে মনজুর বলেন, ‘‘আমার মধ্যে উসকে দেবার প্রবণতা কিছুটা কাজ করে৷ মনোযোগ আকর্ষণের কিছুটা তাগিদও অবশ্যই থাকে৷ এর অর্থ কী? এখানে কার্তুজ কেন রয়েছে? দর্শক সজাগ হয়ে প্রশ্ন করতে থাকেন৷ এভাবে মনোযোগ আকর্ষণ করা যায়, প্রলোভন দেখানো যায়৷ সত্যি আমি প্রলোভন পছন্দ করি৷''

এক শিল্পীর অবাক করা তৈলচিত্র

মনজুর পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত কাবুলে বসবাস করতেন৷ ১৯৭০ সালে তার পরিবার স্বেচ্ছায়  আফগানিস্তান ত্যাগ করে৷ তার বাবা আফগান, মা জার্মান৷ দেশের জন্য মায়ের মন কেমন করতো৷ তৎকালীন পশ্চিম বার্লিনে ছোট এক ফ্ল্যাটে তারা সংসার পাতেন৷ নতুন দেশ সম্পর্কে প্রাথমিক অনুভূতি তার এখনো মনে আছে৷ মনজুর কারগার বলেন, ‘‘আফগানিস্তানে আমি খুব স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতাম৷ বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন, কত মানুষ আমাকে ভালোবাসতো৷ বড় বাগান ছিল৷ আচমকা বার্লিনে চলে এলাম৷ ছোট ফ্ল্যাট, কম জায়গা, অন্ধকার, ভিজে পরিবেশ, বৃষ্টি, শীত৷ সত্যি বড় পার্থক্য ছিল৷''

বর্তমানে মনজুর ছোট ফরম্যাটে সাদা-কালো ছবির এক সিরিজ নিয়ে কাজ করছেন৷ তিনি মনে করেন, ‘‘বড় ছবির নান্দনিকতা ও বিষয়বস্তু সাদা-কালো রংয়ে কাগজের উপর ফুটিয়ে তোলা আমার কাছে বড় চ্যালেঞ্জ৷ স্কেচ করার মধ্যে একটা মুক্তির ব্যাপার রয়েছে, তৈলচিত্রের ক্ষেত্রে পুরোটা আঁকতে ও রং করতে হয়৷ আমাকে বিপরীতমুখী ভাবনা ও কাজ করতে হবে৷''

মনজুর কারগার ইচ্ছামতো মুক্ত চিন্তা ও আঁকার সুযোগের কদর করেন৷

ক্রিস্টিনে লেবার্ট/এসবি