1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উরুমচি দাঙ্গার বর্ষপূর্তিতে কড়া নিরাপত্তা

৫ জুলাই ২০১০

চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য জিংজিয়াং প্রদেশে জাতিগত দাঙ্গার বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ৷ আর এ উপলক্ষে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা৷ রাজ্যের রাজধানী উরুমচিতে চলছে সেনাটহল৷

https://p.dw.com/p/OAtt
উরুমচিতে কড়া নিরাপত্তাছবি: AP

গত বছরের ৫ জুলাই উরুমচিতে ইসলামে বিশ্বাসী উইগুরদের সঙ্গে হান জনগোষ্ঠীর সংঘর্ষে অন্তত ২০০ জন নিহত হয়৷ আহত হয় দেড় হাজারের বেশি৷ এটা সরকারি হিসেব৷ বেসরকারি হিসেবে হতাহতের সংখ্যা আরো বেশি৷

চীনে গত কয়েক যুগে এটাই ছিলো সবচেয়ে বড় জাতিগত দাঙ্গা৷ দাঙ্গার বছর পূর্তি ঘিরে উত্তেজনা থাকলেও তা যেন নতুন করে সংঘাতে মোড় না নেয় সে জন্য আগে থেকেই সতর্ক চীন সরকার৷ সেজন্য নামানো হয়েছে বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তা রক্ষী৷ উরুমচির টাক্সিচালক লিউ ইয়ান বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘‘উত্তেজনা আছে৷ দেখুন, রাস্তায় মানুষ কত কম৷ সাধারণ দিনে রাস্তায় অনেক মানুষ থাকতো৷''

China Protest
গত বছরের দাঙ্গায় নিহত একজনের আত্মীয়ের কান্নাছবি: AP

রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, উরুমচিতে মোতায়েন নিরাপত্তা রক্ষীর সংখ্যা ৪০ হাজার৷ পিপলস স্কোয়ার - যে স্থানটি থেকে দাঙ্গার সূত্রপাত হয়েছিলো, সেখানে এবার নিরাপত্তা রক্ষী ছাড়া কাউকে দেখা যাচ্ছে না৷ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে বসানো হয়েছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা৷ দাঙ্গা নিয়ে কোনো ধরনের কর্মসূচি পালন করতে সরকারের তরফে মানা করে দেওয়া হয়েছে বলে স্থানীয়রা বিভিন্ন বার্তা মাধ্যমকে জানিয়েছেন৷

জিংজিয়ান রাজ্যের জনসংখ্যা দুই কোটির বেশি৷ এর মধ্যে ৪৬ শতাংশ উইগুর৷ তারা নিজেদের ওই অঞ্চলের আদি বাসিন্দা বলে দাবি করে৷ একইসঙ্গে বলে, রাষ্ট্রীয় মদদে তাদের ভূমিতে হানরা বসতি গড়ছে৷ গত বছরের জুন মাসে দুজন উইগুর নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ৫ জুলাই উরুমচিতে মিছিল বের হয়৷ উইগুরদের অভিযোগ ছিলো, হানদের হামলায় তাদের দুজন মারা গেছে৷ ওই মিছিল থেকে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে৷ চীনা কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, বিচ্ছিন্নতাবাদী একটি চক্র ওই দাঙ্গায় প্ররোচনা দিয়েছিলো৷ তবে কঠোর হাতে দাঙ্গা দমনের জন্য মানবাধিকার সংগঠনগুলোর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয় চীনকে৷

প্রতিবেদন: মনিরুল ইসলাম

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ