1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানি-চীন ‘শান্তিপূর্ণ' আলোচনার পক্ষে

৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭

উত্তর কোরিয়া প্রসঙ্গে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং একটি রাজনৈতিক সমাধানের পক্ষে মতপ্রকাশ করেন৷ বুধবার উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে তাঁরা জোরদার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা সমর্থন করেন বলে জানা যায়৷

https://p.dw.com/p/2jZNu
Nordkorea Raketentest
ছবি: Getty Images/AFP/Jung Yeon-Je

ম্যার্কেল ও শি বলেন, ‘‘উত্তেজনা বৃদ্ধির শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে৷'' 

পিয়ংইয়ংয়ের সর্বাধুনিক পরীক্ষামূলক আণবিক বিস্ফোরণ ‘‘গোটা এলাকাটির নিরাপত্তার পক্ষে একটি লক্ষণীয় বিপদ ও গুরুতরভাবে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের'' সমতুল, বলে মন্তব্য করেন জার্মানির সরকারি মুখপাত্র স্টেফেন সাইব্যার্ট৷

এ সপ্তাহের সূচনায় উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতকে বার্লিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে পাঠিয়ে বলা হয় যে, রবিবারের পারমাণবিক পরীক্ষা প্ররোচনার ‘‘একটি নতুন পর্যায়ে পৌঁছেছে৷''

‘শান্তিপূর্ণ উপায়ে'

উভয়ের টেলিফোনালাপে শি ম্যার্কেলকে বলেন যে, বেইজিং পূর্বাপর কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক অস্ত্র বর্জিত রাখার লক্ষ্যে অটল, কিন্তু একমাত্র শান্তিপূর্ণ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার প্রশ্নে প্রগতি অর্জন করা সম্ভব৷

‘‘বাস্তব তথ্য বারংবার প্রমাণ করেছে যে, কোরীয় উপদ্বীপের প্রসঙ্গটি শুধুমাত্র শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধান করা সম্ভব, আলাপ-আলোচনা ও শলাপরামর্শ যার মধ্যে পড়ে৷ এর জন্য আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রসমাজের একত্রে কাজ করা আবশ্যক'', বলেন শি৷

‘শান্তির' জন্য সমরাস্ত্র

উত্তর কোরিয়ার সর্বাধুনিক পারমাণবিক পরীক্ষা আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রসমাজকে সচকিত করেছে৷ বৃহস্পতিবার ইউরোপের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা বিষয়ক কর্মকর্তারা পিয়ংইয়াং-এর বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিজস্ব শাস্তিমূলক ব্যবস্থা আরোপ সম্পর্কে আলোচনা করেন ও এই মত প্রকাশ করেন যে, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক সমরাস্ত্র কর্মসূচি ‘‘বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য একটি ঝুঁকি''৷

অপরদিকে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন বৃহস্পতিবার বলেছেন যে, তাঁর দেশের পারমাণবিক অস্ত্রসম্ভার সংশ্লিষ্ট এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে৷ রুশ টাস সংবাদ সংস্থার বিবরণে কিম-এর এই মন্তব্য প্রকাশিত হয়৷ 

‘‘আমাদের এমন একটি শক্তিশালী পারমাণবিক নিরোধক আছে, যা আমাদের বিশ্বের যে কোনো স্থানে বৈরিসুলভ আক্রমণের জবাব দেওয়ার, এবং কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার সুযোগ এনে দেয়'', বলেছেন কিম জং-উন৷ ‘‘আমাদের দেশের পারমাণবিক মর্যাদার কথা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে স্মরণ রাখা উচিত'', বলে কিম মন্তব্য করেন৷

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের কর্মভার গ্রহণ করার পর থেকে পিয়ংইয়ং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে সম্পর্কে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে৷ হোয়াইট হাউসের একাধিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে মার্কিন স্বার্থরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের দৃঢ় সংকল্পকে উপেক্ষা করার ব্যাপারে উত্তর কোরিয়াকে সাবধান করে দিয়েছেন৷

এসি/ডিজি (এএফপি, এপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য