1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উত্তর কোরিয়ার পরমাণু বোমা

৭ জানুয়ারি ২০১৬

বুধবার উত্তর কোরিয়া যে পরীক্ষামূলক আণবিক বিস্ফোরণ ঘটায়, তা সত্যিই পিয়ংইয়ং-এর দাবি মতো একটি হাইড্রোজেন বোমা ছিল কিনা, বিশেষজ্ঞদের সে বিষয়ে সন্দেহ আছে৷ তবে আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ার কোনো কমতি নেই৷

https://p.dw.com/p/1HZdf
Nordkorea feiert 70. Gründungstag der herrschenden Arbeiterpartei
ছবি: picture-alliance/AP Photo

মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট উত্তর কোরিয়ার আণবিক বিস্ফোরণ ঘটানোর কথা স্বীকার করেছে, কিন্তু হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জশ আর্নেস্ট রিপোর্টারদের বলেছেন, ‘‘(উত্তর কোরিয়ার) প্রশাসন যে সফলভাবে হাইড্রোজেন বোমা পরীক্ষার দাবি করেছে, (মার্কিন তরফে) প্রাথমিক বিশ্লেষণ তার সঙ্গে মেলে না৷''

সিসমোগ্রাফে উত্তর কোরিয়ার বিস্ফোরণটা দেখিয়েছে অনেকটা এইরকম, জানিয়েছে ‘ডিসকভারি' ম্যাগাজিন৷

বিস্ফোরণ যেখানে ঘটানো হয়েছে, সেই স্থানটি উত্তর-পূর্ব চীন থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে৷ বিস্ফোরণের ফলে ঐ এলাকায় নাকি একটি ৪ দশমিক ৮ শক্তির ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে, বলে জানিয়েছে চীনের ‘গ্লোবাল টাইমস' ট্যাবলয়েড; ফলে দানদং শহরে স্কুল ও অফিসবাড়ি খালি করতে হয়৷ ‘‘পিয়ংইয়ং-কে এর দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব'' বিবেচনা করতে হবে, বলেছে গ্লোবাল টাইমস৷ ‘চায়না ডেইলি' পিয়ংইয়ং-এর বিস্ফোরণ ঘটানোকে বলেছে ‘‘দায়িত্বহীন ও বেপরোয়া''৷

বুধবারই চীন সরকারিভাবে বিস্ফোরণের নিন্দা করে৷ জাতিসংঘও নতুন শাস্তিমূলক ব্যবস্থার কথা ভাবছে৷

বড় কথা হবে, যদি চীন তা-তে যোগ দেয়৷ উত্তর কোরিয়ার বর্তমান প্রশাসনকে বাস্তবিক দুর্বল করতে পারে, এমন কোনো পদক্ষেপ চীন সমর্থন করবে, বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন না৷ তবে বেইজিং পিয়ংইয়ং-কে তার উষ্মা অন্যভাবে দেখাতে পারে: দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে যে সব ট্রাক ইয়ালু নদী পারাপার করে থাকে, সেগুলিকে আরো খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হতে পারে; উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে অর্থনৈতিক প্রকল্পগুলি মুলতুবি রাখা হতে পারে; চীনের ব্যাংক আর কোম্পানিগুলিকে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ব্যবসা করা থেকে বিরত থাকতে বলা হতে পারে৷

অপরদিকে নিরাপত্তা পরিষদে চীন হয়ত নতুন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা সমর্থন করবে৷

হাইড্রোজেন বোমা হোক আর নাই হোক, উত্তর কোরিয়ার বিস্ফোরণ ঘটানো বার বার একটি পুরাতন সমস্যার কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে, মার্কিন ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল' যেমন টুইট করেছে: উত্তর কোরিয়ার পরীক্ষামূলক পারমাণবিক বিস্ফোরণ এশিয়ায় মার্কিন নীতিকে চ্যালেঞ্জ করছে৷

নিকটতম ভুক্তভোগী দক্ষিণ কোরিয়া তার সাধ্যমতো প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করেছে: শুক্রবার থেকে আবার দুই কোরিয়ার সীমান্তে লাউডস্পিকার দিয়ে প্রোপাগান্ডা প্রচারণা শুরু হবে, সৌল ঘোষণা করেছে৷ এছাড়া যুগ্ম কায়সং ইনডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্সেও প্রবেশ সীমিত করা হবে৷ আরেকটি প্রতীকী বা সাংকেতিক হুমকি: দক্ষিণ কোরিয়া নাকি উপদ্বীপে আরো বেশি মার্কিন সামরিক ‘অ্যাসেটস' বা সাজসরঞ্জাম কামনা করে৷

এসি/ডিজি (এপি, ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য