উত্তর কোরিয়ার স্বর্গীয় শহর সামচিওন
সম্প্রতি একটি শহরকে নতুন করে ঢেলে সাজিয়েছে উত্তর কোরিয়া৷ তারপর আধুনিক আর স্বর্গীয় এক শহর হিসেবে বর্ণনা করেছে দেশটির সরকার৷ প্রকল্পটি নিয়ে পিয়ংইয়ংয়ের কেন এত উচ্ছাস দেখুন ছবিঘরে৷
সামচিওন পুনর্গঠন
নতুন সামচিওন শহর উদ্বোধন করছেন উত্তর কোরিয়ার প্রধান নেতা কিম জং উন৷ কিমের ভাষায় শহরটি ‘এক খন্ড আধুনিক সভ্যতার এক নমুনা’৷
পবিত্র ভূমি
উত্তর কোরিয়া আর চীনকে ভৌগোলিকভাবে আলাদা করেছে ইয়ালু নদী৷ তার ১৫ কিলোমিটার দূরে পিকতু পর্বতের ধারে সামচিওন শহরটির অবস্থান৷ এটি উত্তর কোরিয়ার পবিত্র ভূমি হিসেবে বিবেচিত, কেননা, এখানেই জন্ম নিয়েছেন কিম জং উনের বাবা কিম জং ইল৷
রিসোর্ট শহর
‘সমাজতন্ত্রের অধীনে আধুনিক পাহাড়ী শহর’, প্রকল্পটির এমনই নাম দিয়েছে উত্তর কোরিয়া৷ চার হাজার পরিবারের বাসস্থানের ব্যবস্থা, হাসপাতাল, সাংস্কৃতিক স্থাপনা, সেই সঙ্গে একটি স্কি রিসোর্টও আছে সেখানে৷
জমকালো আয়োজন
শহরের উদ্বোধন উপলক্ষে ব্যাপক আতশবাজির আয়োজন করা হয়৷ যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধের বিপরীতে এটিকে কিমের অধীনে দেশটির সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে৷
কঠিন পরীক্ষা
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, কঠিন পরীক্ষা আর বাধা অতিক্রম করে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করা হয়েছে৷ নির্মাণ কাজটি অবশ্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করা যায়নি৷ দেখা দিয়েছিল নির্মাণ উপকরণের অভাব আর শ্রমিক স্বল্পতা৷
তরুণ শ্রমিক বাহিনী
নির্মাণে দেরি হওয়ায় পিয়ংইয়ং তরুণ শ্রমিকদের একটি দল গড়ে তোলে, মানবাধিকার সংস্থাগুলো যাকে উল্লেখ করেছে ‘শ্রম দাসত্ব’ হিসেবে৷ কারণ, অংশগ্রহণকারীদের কোনো মজুরি ছিল না৷ সামান্য খাবারের বিনিময়ে দৈনিক বারো ঘন্টা করে কাজ করতে হয়েছে তাদের টানা প্রায় দশ বছর৷ তবে এই শ্রমের প্রতিদান হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় বা ওয়ার্কার্স পার্টিতে ভর্তির ক্ষেত্রে তাদের বাড়তি সুযোগ মিলবে৷