উত্তরবঙ্গে ভোটের মুখ
আগামী ১০ তারিখ থেকে উত্তরবঙ্গে ভোট শুরু হবে। লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের ৫৪টি বিধানসভা আসনে বিজেপি বেশ ভালো ফল করেছিল। এবারও কি তারা তা পারবে? কী হতে পারে তৃণমূলের ফলাফল?
দার্জিলিং মানেই গুরুং
পাহাড়ের ভোটে এবার সকলের নজর বিমল গুরুংয়ের দিকে। সাড়ে তিন বছর পালিয়ে থাকার পরে আবার তিনি পাহাড়ে ফিরেছেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রয়েছে। তা সত্ত্বেও পাহাড়ে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রতিষ্ঠাতাকে সমর্থন করছে তৃণমূল। এর আগে গুরুংয়ের সাহায্যে পাহাড়ে জয় পেয়েছিল বিজেপি।
বিনয় কড়া প্রতিপক্ষ
গুরুংকে কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতার সমানে ফেলেছেন বিনয় তামাং। গুরুং পালিয়ে যাওয়ার পরে বিনয়ের ক্ষমতা বাড়ে পাহাড়ে। এক সময় গুরুংয়ের সতীর্থ গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা(বিনয়) তৈরি করেছেন দার্জিলিংয়ে। বিনয়কেও সমর্থন করছে তৃণমূল।
অশোক দূর্গ
গোটা পশ্চিমবঙ্গে যখন বামেদের ভোট তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে, তখন শিলিগুড়িতে বাম দূর্গ ধরে রেখেছেন প্রবীণ সিপিএম নেতা এবং সাবেক মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য। তিনি শিলিগুড়ির মেয়রও ছিলেন। এবারেও কি নিজের জমি বাঁচাতে পারবেন তিনি?
গৌতম ম্যাজিক
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী গৌতম দেব। উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের সবচেয়ে শক্তিশালী নেতা। কিন্তু গত কয়েক বছরে উত্তরবঙ্গে বিজেপির দ্রুত উত্থানে তিনিও এখন আর খুব নিশ্চিন্তে নেই। গৌতম দেব কি জিততে পারবেন এবারের নির্বাচনে?
নিশীথ ঝড়
এক সময় তৃণমূলে ছিলেন কোচবিহারের নেতা নিশীথ প্রামাণিক। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে। বছরকয়েক আগে তৃণমূল তাকে বহিষ্কার করে। নিশীথ পালিয়ে যান। বলিউডের সিনেমার মতো সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়ে তিনি ফিরে আসেন লোকসভা ভোটের মুখে। বিজেপি তাকে কোচবিহারে প্রার্থী ঘোষণা করে। সেই নিশীথ এখন সাংসদ। বিধানসভা ভোটে তিনি দলকে জেতাতে পারবেন?
কৃষ্ণেন্দুর লড়াই
এক সময় কংগ্রেসের ডাকসাইটে নেতা কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী এখন তৃণমূলে। মালদহের এই নেতার বিরুদ্ধে বেনিয়মের অভিযোগ যেমন আছে, তেমন মানুষের ভালোবাসাও আছে। অসাধ্য সাধন আগেও করেছেন কৃষ্ণেন্দু। কঠিন সময়ে মালদহের ইংরেজবাজারের মতো কঠিন আসনে জিততে পারলে কৃষ্ণেন্দুর ক্ষমতা দলের ভিতর অনেকটা বেড়ে যাবে।
অধীর চৌধুরীর শক্তি
টেকনিক্যালি অধীর চৌধুরী উত্তরবঙ্গের নেতা নন। উত্তরবঙ্গে এবং দক্ষিণবঙ্গের সীমানায় মুর্শিদাবাদ। অধীর সেখানকার বাদশাহ। কিন্তু লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা এখন গোটা পশ্চিমবঙ্গেই কংগ্রেসের হাল ধরেছেন। উত্তরবঙ্গে কংগ্রেসের ফলাফলও খানিকটা নির্ভর করছে তার উপর।
আব্বাস সিদ্দিকি
উত্তরবঙ্গে আব্বাস সিদ্দিকি খুব বেশি আসন দিতে পারেননি। কিন্তু উত্তরবঙ্গের মুসলিম ভোট কোন দিকে যাবে, তা খানিকটা হলেও নির্ভর করছে আব্বাস সিদ্দিকি এবং তার দলের কর্মীদের উপর। উত্তরবঙ্গের কোনো কোনো এলাকায় তার যথেষ্ট প্রভাব আছে।