1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উতরে গেলেন ব্যারলুস্কোনি, তবে রোমে ব্যাপক দাঙ্গা

১৫ ডিসেম্বর ২০১০

ভোটে জিতে গেছেন ইটালির প্রধানমন্ত্রী সিলভিও ব্যারলুস্কোনি৷ কিন্তু পুরো রোম জুড়ে চলেছে দাঙ্গা৷ রোমের মেয়র বলছেন সত্তর দশকের পর এমন দাঙ্গা ইটালি আর দেখেনি৷

https://p.dw.com/p/QYmV
পুলিশের গাড়িতে আগুনছবি: AP

কেন দাঙ্গা?

মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত নো-কনফিডেন্স নির্বাচনে ব্যারলুস্কোনি মাত্র তিনভোটে জেতেন৷ কিন্তু তাঁর এই জয় মেনে নিতে পারেনি অনেকে৷ তাই তারা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন৷ আগুন লাগিয়েছেন টায়ারে, পুলিশের গাড়িতে৷ যেতে চেয়েছেন সংসদ ভবনে, যেখানে ভোটাভুটি হয়েছে৷ মাথায় মোটরসাইকেলের হেলমেট পরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছেন৷ ফলে আহত হয়েছেন ৫০ জন পুলিশ সহ ৯০ জন৷ আর গ্রেপ্তার করা হয় প্রায় ৪১ জনকে৷ রোমের মেয়র জিয়ানি আলেমানো বলছেন, সত্তর দশকের পর রোমে এমন বিক্ষোভ আর হয়নি৷ উল্লেখ্য, ঐ সময়টায় সামাজিক ও রাজনৈতিক কারণে ইটালিতে বেশ আন্দোলন হয়েছিল৷

দাঙ্গার আগে ব্যারলুস্কোনি-বিরোধী একটি বড় মিছিল বের হয়েছিল৷ আয়োজকদের মতে, ঐ মিছিলে প্রায় এক লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটেছিল৷

Misstrauensvotum Silvio Berlusconi Dezember 2010
নির্বাচনের সময় ইটালির সংসদছবি: AP

ব্যারলুস্কোনির বিরুদ্ধে গত বেশ কয়েকদিন ধরেই বিক্ষোভ হচ্ছিল৷ বিশেষ করে শিক্ষার্থী, বেকার আর হতাশাগ্রস্ত মানুষরাই এসব বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছিলেন৷ ইটালির বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে সেটা পছন্দ না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা তার প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করে৷

কেন ব্যারলুস্কোনি এই পরিস্থিতিতে?

কারণ তাঁর জোট সরকারের অন্যতম শরিক দলের প্রধান জ্যানফ্রাংকো ফিনি ৪০ জন সাংসদ নিয়ে হঠাৎ করে জোট ছেড়ে বেরিয়ে যান৷ মূলত দুটি কারণে ফিনি এই সিদ্ধান্ত নেন৷ এক. ব্যারলুস্কোনির দুর্নীতি আর দুই তাঁর ব্যক্তিগত স্ক্যান্ডাল৷ বিক্ষোভে অংশ নেয়া আন্দ্রেয়া নামের একজন বলেছেন, ব্যারলুস্কোনির ব্যক্তিগত জীবন তাঁকে দেশের জন্য ভাল কিছু করা থেকে দুরে সরিয়ে রেখেছে৷ আর স্কুল শিক্ষক সিলভিয়া বলছেন যে, ইটালিতে তরুণ সমাজের কোনো ভবিষ্যত নেই৷

নির্বাচনের ফল

ব্যারলুস্কোনি তাঁর ১৬ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এতবড় পরীক্ষার সামনে আর পড়েননি৷ অবস্থা এমন হয়েছিল যে, অনেকেই মনে করেছিলেন মঙ্গলবারই বুঝি তার ক্ষমতার শেষদিন৷ কিন্তু দেখা গেল তিনি সেটা উতরে গেলেন৷ মাত্র তিন ভোটের ব্যবধান ছিল৷

সংসদের উচ্চকক্ষে ব্যারলুস্কোনি যে জিতবেন সেটা ধরেই নেয়া হয়েছিল৷ কিন্তু নিম্মকক্ষে একটা অঘটনের আশা করছিলেন সবাই৷ সেখানেই দেখা গেল ৬৩০ সাংসদের মধ্যে ৩১৪ জন ভোট দিয়েছে তাঁর পক্ষে৷ আর বিপক্ষে ভোটের সংখ্যা ৩১১টি৷ তিনজন সাংসদ ভোট দানে বিরত থাকেন৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা