1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘মহামারি’

গুড্রুন হাইজে / এসি৩১ আগস্ট ২০১৩

‘‘আজ একটু প্রেসার বেড়েছে৷’’ প্রেসার বলতে বোঝায় ব্লাড প্রেসার কিংবা রক্তচাপ৷ জার্মানিতে হাই ব্লাড প্রেসারে ভুগছেন, এমন মানুষের সংখ্যা সাড়ে তিন কোটি৷ অথচ তাঁদের অর্ধেকই সে কথা জানেন না৷

https://p.dw.com/p/19ZCX
Laufen im Gebirge
ছবি: picture-alliance/chromeorange

প্রত্যেক হৃৎস্পন্দনের সঙ্গে মাপা হয় সিস্টোলিক অর্থাৎ সর্বোচ্চ, এবং ডায়াস্টোলিক অর্থাৎ সর্বনিম্ন রক্তচাপ: এই ধরুন ১২০/৮০, যা কিনা আদর্শ৷ জার্মানিতে আজকাল যে রোগ নিয়েই ডাক্তারের কাছে যান না কেন, রক্তচাপটা একবার মেপে দেখা হয়, রোগীর অজান্তেই তাঁর হাইপারটেনশন থাকার সম্ভাবনাটা এতই বেশি৷

গ্রেড ওয়ান হাইপারটেনশন বলতে ধরা হয়: যদি সিস্টোলিক ১৪০ থেকে ১৫৯, এবং ডায়াস্টোলিক ৯০ থেকে ৯৯-এর মধ্যে পড়ে৷ ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে যাঁরা, তাঁদের হাইপারটেনশন থাকার সম্ভাবনা দুই-এর মধ্যে এক৷ মুশকিল হয়, যদি বছর ত্রিশেকের কারোর – তাঁর নিজের অজান্তেই – ধরা যাক ১৬০/৯০ প্রেসার থাকে৷ ঐ বয়সের মানুষদের হাই ব্লাড প্রেসার থাকলেও তাঁরা সুস্থই বোধ করেন৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংগঠনের প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী হাই ব্লাড প্রেসার শুরু হয় ১৪০/৯০ থেকে৷

সিস্টোলিককে যদি ধমনিতে রক্তচাপের সাধারণ পর্যায় বলে ধরে নেওয়া যায়, তাহলে মনে রাখতে হবে, ধমনিগুলো নমনীয় বলেই সেগুলো রক্তের চাপ বাড়া অথবা কমার সঙ্গে সঙ্গে তারা নিজেরাও প্রসারিত কিংবা সংকুচিত হতে পারে৷ কিন্তু রক্তচাপ একটানা উচ্চ থাকলে ধমনিগুলো ঠিক এই বৈশিষ্ট্যই হারিয়ে ফেলে৷ সেই সঙ্গে থাকে ধমনির ভিতরে এক ধরনের মোমের মতো পদার্থ জমা হওয়া, যাকে বলে ‘প্লাক'৷ এ সব কারণে ধমনি থেকে হৃৎপিণ্ডে অক্সিজেনযুক্ত রক্তের প্রবাহ বন্ধ হয়ে গিয়ে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা ঘটতে পারে৷

হাই ব্লাড প্রেসার জেনেটিক, অর্থাৎ বংশগত কারণে হতে পারে৷ সঙ্গে থাকে ‘স্ট্রেস' বা শারীরিক কিংবা মানসিক চাপ, তা সে কর্মক্ষেত্রেই হোক আর পারিবারিক কিংবা ব্যক্তিগত জীবনেই হোক৷ ব্যায়াম-হাঁটা-চলাফেরা না করে আয়াসী জীবন, নিয়মিত মদ্যপান, খাওয়ার পাতে বড় বেশি নুন খাওয়া – এ সবই উচ্চ রক্তচাপ ঘটাতে পারে৷

হাই ব্লাড প্রেসার আজ বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলি ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে, উপসাগরীয় দেশগুলিতে, চীন বা ভারতে আরো বেশি করে দেখা দিচ্ছে৷ সেক্ষেত্রে ব্লাড প্রেসারের রোগী – এবং বাকিরা, যাঁদের রোগী হতে বাকি আছে – তাঁরা কি করতে পারেন? নুন খাওয়া কমান! হাঁটাহাঁটি, চলাফেরা করুন! ওজন কমান!

আসল কথা বোধহয় এই: সুস্থভাবে বাঁচলে স্বাস্থ্য ভালো থাকবে না কেন?

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য