উইলিয়াম-কেট, একটি প্রেমকাহিনি
প্রিন্স উইলিয়াম আর ডাচেস অফ কেমব্রিজ এই প্রথম একত্রে জার্মানিতে আসছেন৷ যেন রূপকথার রাজপুত্র আর রাজকন্যা – আবার এক আশ্চর্য প্রেমকাহিনিও বটে৷
লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট
উইলিয়াম আর কেটের প্রথম সাক্ষাৎ ২০০১ সালে, স্কটল্যান্ডের সেন্ট অ্যান্ড্রুজ ইউনিভার্সিটিতে৷ দু’জনেই ছিলেন আর্ট হিস্ট্রি, অর্থাৎ শিল্পকলার ইতিহাসের ছাত্র – এবং খুব ভালো বন্ধু, এমনকি এক ছাত্রাবাসে আরো দু’জন ছাত্রের সঙ্গে ফ্ল্যাটও শেয়ার করেছেন৷
প্রিন্স চার্লস আর প্রিন্সেস ডায়ানার জ্যেষ্ঠ সন্তান
উইলিয়ামের জন্ম ১৯৮২ সালের ২১শে জুন তারিখে৷ পদবি: ডিউক অফ কেমব্রিজ৷ প্রিন্স চার্লসের পরেই সিংহাসনে আরোহণের অধিকার উইলিয়ামের৷ কাজেই পাত্রী জোটায় কোনো অসুবিধা না হওয়ারই কথা...
কেট এসেছেন উচ্চমধ্যবিত্ত পরিবার থেকে
বয়সে উইলিয়ামের চেয়ে মাস ছয়েকের বড় কেট৷ তাঁর বাবা-মা পেশায় ছিলেন ফ্লাইট ডিস্প্যাচার ও ফ্লাইট অ্যাটেন্ডান্ট, পরে নিজেদের পার্টি সার্ভিস ব্যবসা শুরু করে বিপুল অর্থ অর্জন করেন৷ কাজেই কন্যা কেটকে সেরা স্কুল-কলেজে পাঠাতে তাদের কোনো অসুবিধা হয়নি৷
সেই কুখ্যাত সি-থ্রু ড্রেস
২০০২ সালে সেন্ট অ্যান্ড্রুজে একটি চ্যারিটি ফ্যাশন শো হচ্ছে৷ মডেলদের মধ্যে রয়েছেন কেট মিডলটন, কিছুটা স্বচ্ছ একটি পোশাক পরে, যা নিশ্চয় উইলিয়ামেরও চোখে পড়েছিল৷ ২০০৩ সাল থেকে দু’জনে একটি ‘কাপল’, অর্থাৎ প্রেমিক-প্রেমিকা৷ ন’বছর পরে কেটের সেই ড্রেস একটি নিলামে বিক্রি হয় ৭৮,০০০ পাউন্ডে, অর্থাৎ প্রায় এক লাখ ডলারে৷ শুনে আদত চ্যারিটি শো-র উদ্যোক্তারা কী বলেছিলেন, জানা নেই৷
মায়ের আংটি
২০১০ সালে কেনিয়ায় ছুটি কাটানোর সময় উইলিয়াম কেটকে ‘প্রোপোজ’ করেন, অর্থাৎ বিবাহের প্রস্তাব দেন৷ এনগেজমেন্ট রিং-টি ছিল সাদা সোনার উপর ১৪টি হীরে বসানো একটি আংটি – আরো বড় কথা, আংটিটি প্রিন্সেস ডায়ানার৷ ১৯৯৭ সালে মা হারানো প্রিন্স পরে বলেন, তিনি চেয়েছিলেন যে, তাঁর মা যেন তাঁর বিয়ের দিনে উপস্থিত থাকেন৷
স্ন্যাপশট
স্টার ফটোগ্রাফার মারিও টেস্টিনো দু’ঘণ্টা ধরে ছবি তুলেও যখন তাঁর মনের মতো এনগেজমেন্ট ফটো পাচ্ছেন না, তখন হঠাৎ দেখেন, ফটো শুট শেষ করে বেরনোর আগে উইলিয়াম ও তাঁর বাগদত্তা হিটারের সামনে আলিঙ্গণাবদ্ধ৷ টেস্টিনোর সেই ছবি পরে বিশ্বের মানুষ দেখে ও চেনে কেট আর উইলিয়ামের এনগেজমেন্ট ফটো হিসেবে৷
ওয়েডিং বেলস
কেট আর উইলিয়ামের বিয়ে হয় ২০১১ সালের ২৯শে এপ্রিল তারিখে৷ কেটের পঞ্চাশের দশকের স্টাইলে ছাঁটা ওয়েডিং গাউন আর প্রায় ন’ফুট লম্বা ভেইল বা ওড়না সত্যিই নতুন ডাচেস অফ কেমব্রিজের যোগ্য ছিল৷ তবে প্রিন্সেস ডায়ানা বিয়ের সময় যে ভেইলটি পরেছিলেন, তার দৈর্ঘ্য ছিল ২৫ ফুট!
বরযাত্রী, কন্যাযাত্রী
ডানদিকে রানি এলিজাবেথ সহ উইন্ডসর পরিবার, বাঁয়ে মিডলটন পরিবার – বাকিংহ্যাম প্যালেসের থ্রোন রুমে তোলা সরকারি পোর্ট্রেট৷
প্রথমে ছেলে: প্রিন্স জর্জ
প্রিন্স জর্জের জন্ম ২০১৩ সালের ২২শে জুলাই৷ মনে রাখতে হবে, জন্মেই সে সিংহাসনের তৃতীয় অধিকারী৷
‘ইটস এ গার্ল!’
প্রিন্স জর্জের প্রায় দু’বছর পরে জন্ম নিল প্রিন্সেস শার্লট এলিজাবেথ ডায়ানা৷ দিনটা ছিল ২০১৫ সালের দোসরা মে৷ লন্ডনের টাওয়ার ব্রিজ গোলাপি রঙে উদ্ভাসিত করে জানানো হয়েছিল: ‘ইটস এ গার্ল!’
জর্জ আর শার্লটকে নিয়ে জার্মানি সফরে আসছেন উইলিয়াম আর কেট
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন নাকি ব্রেক্সিট আলাপ-আলোচনার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হওয়ার সময় এই সুখি রাজপরিবারকে একটি ‘চার্ম অফেনসিভে’ ইউরোপে আসার পরামর্শ দেন৷