1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইহুদি জাতির রাষ্ট্রের অধিকার

৩ এপ্রিল ২০১৮

ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলের অস্তিত্বের অধিকার কার্যত মেনে নিলো সৌদি আরব৷ যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এক শান্তি চুক্তির আওতায় ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি রাষ্ট্রের পক্ষে সওয়াল করেছেন৷

https://p.dw.com/p/2vOAo
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান
ছবি: Getty Images/AFP/B. R. Smith

কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকলেও এতকাল আড়ালে-আবডালে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হচ্ছিল৷ এবার প্রকাশ্যেই ইসরায়েলের অস্তিত্বের অধিকারের পক্ষে সওয়াল করলেন সৌদি আরবের সবচেয়ে শক্তিশালী নেতা৷ ওয়াশিংটনে ‘দ্য অ্যাটলান্টিক' পত্রিকার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, বিশ্বের সব জাতির মতো ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি – দুই পক্ষেরই নিজেদের শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্রে বসবাসের অধিকার রয়েছে৷ তাঁর মতে, এক শান্তি চুক্তির মাধ্যমে সেই লক্ষ্য পূরণ করতে হবে৷ যুবরাজ আরও বলেন, ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের বিরুদ্ধে তাঁর কোনো ‘ধর্মীয় আপত্তি' নেই৷ তবে জেরুসালেম শহরে পবিত্র আল আকসা মসজিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে৷

অশীতিপর বাদশাহ সালমানের হয়ে ‘এমবিএস' নামে পরিচিত সৌদি যুবরাজই কার্যত দেশ চালাচ্ছেন, এমন ধারণা ধীরে ধীরে আরও বদ্ধমূল হয়ে উঠছে৷ তরুণ এই নেতা সৌদি আরবকে ‘আধুনিক' করে তুলতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়ে চলেছেন৷ রাজনীতির মঞ্চেও নতুন করে সৌদি স্বার্থরক্ষায় ঘুঁটি সাজাচ্ছেন তিনি৷

বিশেষ করে আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানকে কোণঠাসা করতে তিনি ইরানের শত্রু ইসরায়েলের সঙ্গে নেপথ্যে সহযোগিতা বাড়িয়ে চলেছেন৷ সম্প্রতি ভারতের এয়ার ইন্ডিয়া বিমান সংস্থা সৌদি আকাশসীমার উপর দিয়ে ইসরায়েলে উড়ালের অধিকার পাওয়ায় সেই নীতি আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে৷ ইসরায়েলের একজন মন্ত্রী সৌদি আরবের সঙ্গে গোপন যোগাযোগের কথাও স্বীকার করেছেন৷ সৌদি আরব অবশ্য এমন যোগাযোগ নিয়ে এখনো পর্যন্ত মুখ খোলেনি৷

ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্কের প্রচেষ্টা অবশ্য এই প্রথম নয়৷ ২০০২ সালে তৎকালীন সৌদি বাদশাহ আব্দুল্লাহর উদ্যোগে ‘আরব শান্তি উদ্যোগ' শুরু হয়৷ তার আওতায় ১৯৬৭ সালের সীমানার ভিত্তিতে স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র মেনে নিলে আরব জগত ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেয়৷ তবে সরাসরি ইসরায়েলের অস্তিত্বের অধিকারের পক্ষে এ পর্যন্ত কোনো সৌদি নেতা মুখ খোলেননি৷

সৌদি মসনদের সম্ভাব্য উত্তরাধিকারী হিসেবে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের অনেক পদক্ষেপ দেশের মধ্যেও বিতর্কের সৃষ্টি করছে৷ তিনি কড়া হাতে প্রতিদ্বন্দ্বীদের দমন করে এ পর্যন্ত নিজের কর্তৃত্ব বজায় রাখতে পেরেছেন৷ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টা সৌদি আরবে কতটা গ্রহণযোগ্য হবে, সে বিষয়ে এখনো কোনো আভাস পাওয়া যাচ্ছে না৷

এসবি/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)