1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরানে ক্ষমতার লড়াই'য়ে নতুন রাউন্ড

১৪ মে ২০১১

প্রেসিডেন্ট আহমদিনেজাদকে হার মানতে হচ্ছে বলেই মনে হতে পারে৷ এবার তিনি তিনজন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করে মন্ত্রীসভার আয়তন কমানোর চেষ্টা করেছেন, সংসদ যেমনটি দাবি করেছিল৷

https://p.dw.com/p/11G3M
নিজের ক্ষমতা বাঁচাতে ব্যস্ত প্রেসিডেন্ট আহমদিনেজাদছবি: fararu.com

সংসদ রীতিমতো আইন করে মন্ত্রীসভার আয়তন বেঁধে দিয়েছে: মন্ত্রণালয়ের সংখ্যা ২১ থেকে কমিয়ে ১৭ করতে হবে৷ তাই এবার বাদ পড়লেন তেল মন্ত্রী, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী এবং শিল্পমন্ত্রী৷ অবশ্য তাদের পদে অন্য কাউকে আনা হবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়৷

মন্ত্রীপদ কমানো দিয়েই ইরানের নেতৃপর্যায়ে গত তিন সপ্তাহের ক্ষমতার লড়াই'এর অন্ত ঘটল কিনা, বলা শক্ত৷ অভিভাবক পরিষদ, অর্থাৎ যে শক্তিশালী পরিষদটি নির্বাচনের তত্ত্বাবধায়নের দায়িত্বে, তার প্রধান আয়াতোল্লা আহমদ জনতি শুক্রবার বলেছেন, আহমদিনেজাদের কাছ থেকে তা প্রত্যাশা করা না হলেও - সংকটের অন্ত ঘটেছে৷ যে সংকট স্বদেশে এবং বিদেশে ইরানের শত্রুদের আনন্দের কারণ ঘটিয়েছিল৷

সংকটটা শুরু, আহমদিনেজাদ গুপ্তচর বিভাগের প্রধান হায়দার মোসলেহি'কে বরখাস্ত করার চেষ্টা করার ফলে৷ সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেই তা'তে তার ভেটো দেন৷ ঐ গুপ্তচর বিভাগই নির্বাচনে প্রার্থীদের অনুমোদন, অননুমোদনের দায়িত্বে৷ কাজেই আহমদিনেজাদ হয়তো ২০১২ সালের মার্চে পরবর্তী সংসদীয় নির্বাচনের আগে গুপ্তচর বিভাগের নিয়ন্ত্রণটা পুরোপুরি নিজের হাতে আনতে চেয়েছিলেন৷ খামেনেই ভেটো দেবার পর আহমদিনেজাদ গোঁসা করে জনসমক্ষ থেকে উধাও হন, মন্ত্রীসভার বৈঠক বর্জন করেন, সরকারি সফর বাতিল করেন৷ সে এক আশ্চর্য পরিস্থিতি৷

NO FLASH Ali Khamenei and Mahmoud Ahmadinejad
সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেই’এর সঙ্গে আহমদিনেজাদের দূরত্ব বাড়ছেছবি: Khameni

কিন্তু আহমদিনেজাদের মুখ্য উপদেষ্টাকে নিয়ে বিরোধ তো থেকেই যাচ্ছে৷ এস্ফান্দিয়ার রহিম মাশাইয়ে হলেন ধর্মীয় সনাতনপন্থীদের যম৷ ২৫ বছর ধরে আহমদিনেজাদের সঙ্গে কাজ করছেন৷ মাশাইয়ে'র জাতীয়তাবাদী মনোভাব নাকি প্রাক-ইসলামি ইরানের কথা, উনবিংশ শতাব্দীর সেই বাবি আন্দোলনের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়৷ মোশাইয়ে নাকি একটি ‘ইরানি ইসলাম' তৈরী করার চেষ্টা করছেন, ইসলামে বহুমুখিতা প্রচলনের চেষ্টা করছেন - এই হল রক্ষণশীলদের অভিযোগ৷

প্রেসিডেন্ট আহমদিনেজাদ বরাবর তাঁর মুখ্য উপদেষ্টাকে সমর্থন করে এসেছেন৷ এবার সেটাই তাঁকে বন্ধ করতে হবে, মাশাইয়ে'র থেকে তাঁকে দূরে সরতে হবে, বলে দাবি করেছেন আয়াতোল্লা জনতি, আয়াতোল্লা মেসবাহ ইয়াজদি'র মতো প্রভাবশালী নেতারা৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য