ইরানের হামলা নিয়ে বিশ্ব নেতারা যা বলছেন
ইরানের হামলা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা৷ অনেকেই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন৷পরিস্থিতি যাতে আর অস্থিতিশীল না হয় সেই বিষয়েও জোর দিয়েছেন তারা৷
চড় মারা হয়েছে
হামলার পর ইরানের প্রধান ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনি টুইট করে বলেছেন, ‘‘গত রাতে তাদেরকে চড় মারা হয়েছে৷ কিন্তু এমন সামরিক পদক্ষেপ যথেষ্ট না৷’’ আরেক টুইটে তিনি মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতি মানা হবে না জানিয়ে বলেন, ‘‘যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে যুদ্ধ, বিভেদ, উসকানি, সর্বনাশ এবং অবকাঠামো ধ্বংসের জন্য দায়ী৷ এই অঞ্চল যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতি আর মেনে নেবে না৷’’
তাৎক্ষণিকভাবে জেনেছে ইরাক
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদেল আব্দুল-মাহদি বলেছেন, হামলার বিষয়টি ইরান তাদেরকে অবহিত করেছে৷ তিনি বলেন, ‘‘কাসেম সোলেইমানি হত্যার প্রতিশোধ শুরু হয়েছে বা কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হবে এমন একটি আনুষ্ঠানিক মৌখিক বার্তা আমরা ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরানের কাছ থেকে পেয়েছি৷ নির্দিষ্ট স্থান উল্লেখ না করলেও মার্কিন সামরিক অবস্থানে এই হামলা চালানোর কথা বলা হয়েছিল৷’’
শান্ত থাকা জরুরি
সংযুক্ত আরব আমিরাতে পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী আনোয়ার গারগাশ চলমান অস্থিরতায় সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন৷ টুইটে বলেছেন, ‘‘শান্ত থাকা বুদ্ধিমানের কাজ এবং জরুরি৷ রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পথ অনুসরণ আবশ্যকীয়৷’’
জার্মানির নিন্দা
হামলার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস৷ টুইটারে তিনি লিখেছেন. ‘‘ইরাকের সামরিক ঘাঁটিতে ইরানের মিসাইল হামলার নিন্দা জানাচ্ছি, যেখানে যৌথ বাহিনীও ছিল৷ আর কোনো উসকানিমূলক পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকতে আমরা ইরানের প্রতি আহ্বান জানাই৷’’
যুক্তরাষ্ট্রের পাশে আছে ইসরায়েল
ইরান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের পাশে থাকার কথা পুনর্ব্যাক্ত করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু৷ তিনি বলেন, ‘‘আমাদেরকে কেউ আক্রমণের চেষ্টা করলে তার শক্ত জবাব দেয়া হবে৷’’ তিনি আরো জানান, ইসরায়েল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার সিদ্ধান্তকে পুরোপুরি সমর্থন করে৷ দ্রুত, সাহসী এবং দৃ্ঢ় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য ট্রাম্পকে অভিনন্দনও জানান তিনি৷
অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ করুন
ইরানের হামলার পর টুইট করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের কমিশন প্রধান উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন৷ তিনি লিখেছেন. ‘‘আলোচনার সুযোগ তৈরির জন্য অস্ত্রের ব্যবহার এখনই বন্ধ করতে হবে৷ আলোচনা চালুর জন্য আমরা সম্ভাব্য সব কিছু করার আহ্বান জানাচ্ছি৷’’
ন্যাটোর নিন্দা
ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টোলেনবার্গ নিন্দা জানিয়ে টুইট করেছেন৷ লিখেছেন, ‘‘ইরাকে যুক্তরাষ্ট্র ও জোট বাহিনীর উপরে ইরানের মিসাইল হামলার নিন্দা জানাই আমরা৷ আর কোনো সহিংসতা থেকে বিরত থাকার জন্য ন্যাটোর পক্ষ থেকে আমরা ইরানের প্রতি আহ্বান জানাই৷ আলোচনা এবং ইরাকে প্রশিক্ষণ মিশন অব্যাহত রাখার মিশনে জোট প্রতিশ্রুতিবদ্ধ৷’’
বেপরোয়া ও ভয়ানক আচরণ
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ইরানের আক্রমণকে বেপরোয়া ও ভয়ানক আচরণ হিসেবে অভিহিত করেছেন৷ এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটা উচিৎ হবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি৷ এই হামলায় কোনো মার্কিন বা ব্রিটিশ সেনা আহত হয়নি বলেও দাবি করেন জনসন৷ সংসদে আরেক প্রশ্নের জবাবে কাসেম সোলেইমানিকে হত্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘ঐ ব্যক্তির হাতে ব্রিটিশ সৈন্যের রক্ত ছিল৷’’
সব ঠিক আছে
হামলার পরপরই টুইট করেছেন ডনাল্ড ট্রাম্প৷ ‘‘সব ঠিক আছে৷ ইরাকে দুইটি সামরিক ঘাঁটিতে ইরান থেকে মিসাইল ছোড়া হয়েছে৷ এখন হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে৷ এখন পর্যন্ত বেশ ভালো! বিশ্বে সবচেয়ে শক্তিশালী ও সুসজ্জিত সামরিক বাহিনী আমাদেরই৷ আমরা আগামীকাল একটি বিবৃতি দেবো,’’ লিখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷