1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরানের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু

২১ আগস্ট ২০১০

চালু করা হলো ইরানের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র৷ সহযোগিতা করছে রাশিয়া৷ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাই উপস্থিত ছিলেন দুই দেশের পারমাণবিক কর্মসূচির প্রধান আলী আকবর সালেহি এবং সের্গেই কিরিয়েঙ্কো৷

https://p.dw.com/p/Ot6p
বুশেয়ার পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রছবি: AP

ইরানি টেলিভিশনে দেখানো হলো বুশেয়ার পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পারমাণবিক জ্বালানি সরবরাহের দৃশ্য৷ আনুষ্ঠানিকভাবে এই কেন্দ্র চালুর পর সালেহি সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘পশ্চিমা দেশসমূহের চাপ, নিষেধাজ্ঞা এবং কঠোরতা সত্ত্বেও আমরা এখন দেখছি ইরানের শান্তিপূর্ণ কাজে পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারের প্রতীক৷'' ইরানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আরো দুই থেকে তিন মাস সময় লাগবে এই কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হতে৷ আর এটি পুরোদমে উৎপাদনে গেলে সেখান থেকে পাওয়া যাবে এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ৷ তাদের দাবি, পারমাণবিক জ্বালানি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ফলে তারা আরো বেশি পরিমাণ গ্যাস ও তেল রপ্তানি করতে পারবে৷ এছাড়া খনিজ সম্পদ ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই তারা ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হতে পারবে৷

Iran Bushehr
রাশিয়া ও ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির প্রধান – সের্গেই কিরিয়েঙ্কো এবং আলী আকবর সালেহি

তবে অধিকাংশ বিশ্লেষক বুশেয়ার কেন্দ্র স্থাপনকে পারমাণবিক অস্ত্র সম্প্রসারণ বলে মনে না করলেও ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধিকরণ নিয়ে অনেক দেশই উৎকণ্ঠিত৷ বুশেয়ার বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের নকশা এবং নির্মাণ, দু'টোই করেছে রাশিয়া৷ এছাড়া জ্বালানি সরবরাহও করছে তারা৷ তবে সের্গেই কিরিয়েঙ্কো বলেন, ‘‘বুশেয়ারে পরমাণু কেন্দ্র নির্মাণ একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে যে, আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা – আইএইএ'র বিধি মেনে এবং সঠিক তথ্য প্রকাশ করে পারস্পরিক আলোচনার ভিত্তিতে পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার করার সুযোগ যে কোন দেশ পেতে পারে৷''

এই বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে ব্যবহৃত পারমাণবিক রডগুলো ফেরত নিয়ে যাবে রাশিয়া, যাতে করে এসব ব্যবহৃত রড পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কাজে ব্যবহারের কোন আশঙ্কা না থাকে৷ ইতিমধ্যে বুশেয়ার কেন্দ্র নির্মাণে ইরানকে সহযোগিতার জন্য রাশিয়ার সমালোচনা করেছে অ্যামেরিকা৷ তবে বুশেয়ার উৎপাদন কেন্দ্রের উদ্বোধন এতোদিনে করা হলেও এটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল কয়েক দশক আগে৷ ইরানের ইসলামি বিপ্লবেরও আগে ১৯৭০ সালের দিকে জার্মান প্রতিষ্ঠান সিমেন্স শুরু করেছিল এটির নির্মাণ প্রক্রিয়া৷

এদিকে, ইরানের প্রতি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধিকরণ বন্ধে মার্কিন আহ্বানের জবাবে সালেহি বলেন, ‘‘এটি রাশিয়ার সাথে আমাদের চুক্তির পরিপন্থী নয়৷ এছাড়া আমরা আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীকে জানিয়ে দিতে চাই যে, কখনো অনাকাঙ্খিত কিছু ঘটলেও আমরা নিজেদের পারমাণবিক জ্বালানি চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবো৷''

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন