ইরানের কয়েকটি দর্শনীয় স্থান
হাজার বছরের পুরনো ইতিহাস ও সংস্কৃতি, আকর্ষণীয় ভবন আর অসাধারণ প্রকৃতির দেখা পেতে চাইলে চলে যান ইরানে৷ সঙ্গে পাবেন মনে রাখার মতো আতিথেয়তা৷
কাশান
শহরের কেন্দ্রে আছে ঐতিহ্যবাহী ঘরবাড়ি, মসজিদ আর বাজার৷ আর শহরের বাইরে গেলে দেখা যাবে লবণাক্ত পানির হ্রদ৷ এছাড়া মেরেনযব মরুভূমিতে বেড়াতে গিয়ে সূর্যোদয় দেখার বিষয়টিও অনেকদিন মনে রাখার মতো একটি বিষয়৷
ইসফাহান
ইরানের প্রায় সব জায়গাতেই আর্টের দেখা পাওয়া যায়৷ যেমন ছবিতে ইসফাহান শহরে অবস্থিত শেখ লুৎফুল্লাহ মসজিদের গম্বুজের ভেতরের কারুকাজ দেখতে পাচ্ছেন৷ এছাড়া স্ট্রিট আর্ট, রংবেরংয়ের বাড়িঘর ইত্যাদিরও দেখা পাওয়া যাবে ইসফাহানে৷
আবিয়ানেহ
কাশান আর ইসফাহানের মাঝে ছোট্ট একটি গ্রাম আবিয়ানেহ৷ মাত্র ৩০০ লোক বাস করেন সেখানে৷ কিন্তু ইরানের অনেকেই এই গ্রামকে চেনেন৷ কারণ প্রায় ২০০০ বছরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি এখনও ধরে রেখেছেন গ্রামবাসীরা৷ সেখানকার ঘরবাড়ি তৈরি হয়েছে লাল-বাদামি রংয়ের মাটি দিয়ে৷ ২০০৭ সালে এই গ্রামের নাম ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় ঠাঁই পায়৷
লুট মরুভূমি
মঙ্গলগ্রহ দেখতে কেমন হতে পারে তা বোঝার জন্য অনেকে লুট মরুভূমির ছবি দেখে থাকেন৷ দাশত-ই-লুট, যা কালুট নামেও পরিচিত, মরুভূমিতে প্রাণের চিহ্ন নেই৷ থাকবেই বা কীভাবে? ২০০৫ সালে নাসা সেখানে ৭০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা মেপেছিল৷
ইয়াজদ
ইরানের সবচেয়ে বড় দুই মরুভূমির মাঝে অবস্থিত শহর এটি৷ দেশটির অন্যতম সুন্দর এই শহরে গেলে প্রাচীনকালের ঘরবাড়ির দেখা পাওয়া যাবে৷ আর সন্ধ্যাবেলার চায়ের দোকানের ছাদে উঠে আলোকিত শহর দেখাও এক দারুণ অভিজ্ঞতা৷
গোলেস্তান প্রদেশ
কেমন লাগছে ছবিটি? দারুণ না! ছোট্ট যে ঘরটি দেখছেন সেটি আসলে নবি খালেদ ইবনে সেনান (আঃ)-এর মাজার৷ সেখান থেকে সারি সারি পাহাড়ের দৃশ্য সত্যিই অপূর্ব৷ এলাকাটি উত্তরপূর্ব ইরানে অবস্থিত৷
সিরাজ
বেশিরভাগ ইরানির ভালোলাগার শহর সিরাজ৷ সেখানে দেখার অনেক কিছু থাকলেও সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে মহাকবি হাফিজের কবর৷ এছাড়া নাসির-উল-মুল্ক মসজিদও দেখে আসতে পারেন৷
পেরজেপোলিস
আকেমেনুদ সাম্রাজ্যের, যা প্রথম পারস্য সাম্রাজ্য নামেও পরিচিত, রাজধানী ছিল পেরজেপোলিস৷ এখনও শহরটিতে সেই সময়কার কিছু স্থাপত্যের দেখা পাওয়া যায়৷ ফলে ইউনেস্কোর তালিকায় এই শহরের নামও রয়েছে৷