ইরানের ওপর হামলা!
২৬ সেপ্টেম্বর ২০১০এ বছরের জুলাইতে প্রথম সনাক্ত হয় ভাইরাসটি৷ স্টাক্সনেটের বৈশিষ্ট্য হলো, জার্মান কোম্পানি সিমেন্সের যন্ত্রপাতি ও সফটওয়্যার ব্যবহার করে যেসব কোম্পানি তাদের আক্রমণ করা৷ ইরানের বেশিরভাগ শিল্প প্রতিষ্ঠানই সিমেন্সের যন্ত্রপাতি ও সফটওয়্যার ব্যবহার করে৷ ফলে স্টাক্সনেট আক্রমণ চালায় সেখানে৷ এতে প্রায় ত্রিশ হাজারেরও বেশি কম্পিউটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ইরানের সরকারি সূত্র শনিবার স্বীকার করেছে৷
বিদ্যুৎ, তেল এমনকি পরমাণু কেন্দ্রের কম্পিউটারগুলিও এই আক্রমণের শিকার৷ গুজব রটেছে, ইরানের বুশেহের পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রও স্টাক্সনেটের কবলে পড়েছে৷ যদিও সরকারিভাবে এই গুজবের সত্যতা বের করা যায়নি৷ উল্লেখ্য, এই সেই পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র, যার কারণে ইরান পশ্চিমা বিশ্বের ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে৷
তাই প্রশ্ন উঠেছে, কে বানিয়েছে এই ভাইরাসটি? ইন্টারনেটে বিভিন্ন লেখায় কেউ কেউ মন্তব্য করছেন এটা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের কাজ৷ তারাই স্টাক্সনেট বানিয়ে ইরানের ওপর হামলা করেছে৷ কারণ এর মাধ্যমে কম্পিউটারে থাকা তথ্যগুলো দেশের বাইরে পাচার করা সম্ভব৷ কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস নাভাল ওয়ার কলেজের জাতীয় নিরাপত্তা বিভাগের অধ্যাপক ডেরেক রেভেরন এই অভিযোগ সত্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘বুঝতে পারছি, স্টাক্সনেট এতটাই কার্যকর যে মনে হতে পারে এটা যুক্তরাষ্ট্রের কাজ৷''
কিন্তু সিমান্টেক সহ বিশ্বের অন্যান্য কম্পিউটার নিরাপত্তা কোম্পানির বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনো একজনের পক্ষে এই ধরণের ভাইরাস তৈরি সম্ভব নয়৷ নিশ্চয় এর পেছনে কোনো দেশের সরকারের হাত রয়েছে৷ তাহলে কী এদের কথাই সত্যি?
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়