1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরানের ওপর আবারো জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা আরোপ

১০ জুন ২০১০

অবশেষে যা ভাবা হয়েছিল তাই হলো৷ ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলো জাতিসংঘ৷ তবে আলোচনার পথ খোলা থাকবে, বলে জানানো হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/NmZM
আহমেদিনেজাদ: নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাব ডাষ্টবিনে ছুঁড়ে ফেলা উচিত!ছবি: AP

নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভোটাভুটি হয়৷ এতে ১৫টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১২টি রাষ্ট্রই নিষেধাজ্ঞার পক্ষে ভোট দেয়৷ আর তুরস্ক ও ব্রাজিল ভোট দেয় বিপক্ষে৷ অন্যদিকে লেবানন ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকে৷ উল্লেখ্য, নিষেধাজ্ঞাটি পাশ হওয়ার জন্য কমপক্ষে ৯টি ভোটের দরকার ছিল৷

মূলত সামরিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বলা হয়েছে৷ আরো স্পষ্ট করে বললে বলতে হয়, অস্ত্র কেনাবেচা সহ ইরানের ব্যাঙ্কিং খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে৷ এছাড়া ইউরেনিয়াম মাইনিং-এর ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়েছে৷ আর ইরানের পরমাণু কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত কয়েকজন ব্যক্তির তালিকা করা হয়েছে, যাঁদের চলাফেরা ও আর্থিক লেনদেনের ওপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে৷ ঠিক একইভাবে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক লেনদেনের ওপরেও নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়েছে৷

তবে, এখানে একটা বিষয় বলা যেতে পারে, সেটা হলো- চীন ও রাশিয়ার কারণে ইরানের জ্বালানি খাতকে নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়েছে৷ কারণ এই খাতের সঙ্গে দেশ দুটির বাণিজ্যিক সম্পর্ক জড়িত৷

Barack Obama in Cairo
ওবামা: আলোচনার পথ এখনো খোলাছবি: AP

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ জাতিসংঘের এই সিদ্ধান্তকে ‘মূল্যহীন' বলেছেন এবং রুমালের মতো একে ডাষ্টবিনে ছুঁড়ে ফেলা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন৷ আসলে ইরানের কাছ থেকে এধরণের বক্তব্যই আশা করছিল সবাই৷ কারণ মাত্র ক'দিন আগেই এই নিষেধাজ্ঞা এড়াতে একটি চুক্তি করেছিল ইরান৷ এর ফলে পশ্চিমা বিশ্বের ইচ্ছা অনুযায়ী দেশের বাইরে ইউরেনিয়াম পাঠাতে রাজি হয়েছিল তারা৷ তবে এরপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় ইরান স্বভাবতই ক্রুব্ধ৷ তাইতো ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার কথা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে ইরান৷

এদিকে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা ডা সিলভা জাতিসংঘের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন৷ আর তুরস্ক এতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে যে, এর ফলে সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ আরও জটিল হয়ে গেল৷

অন্যদিকে, যারা নিষেধাজ্ঞার পক্ষে ভোট দিয়েছে তারা স্বভাবতই খুশি৷ তবে আলোচনার পথ এখনো খোলা, বলে জানিয়েছে তারা৷ নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, নিষেধাজ্ঞার মাধ্যেমে ইরানের ওপর চাপ তৈরির পাশাপাশি আলোচনার পথও খোলা থাকবে৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা নতুন এই নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাবকে ইরানের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত নেয়া সবচেয়ে কঠোর পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন৷

এদিকে এই নিষেধাজ্ঞার কারণে ব্রাজিল ও তুরস্কের সঙ্গে ইরান গত মাসে যে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল তার ভবিষ্যৎ কী হবে সে সম্পর্কে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেত দাভুটোগলু বলেন যে, চুক্তিটি এখনো ঠিক আছে এবং এর মাধ্যমেই এই সমস্যার একটা কূটনৈতিক সমাধানের দিকে এগিয়ে যেতে হবে৷


প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়