1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরানি ট্যাঙ্কার জব্দ, তেহরানে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে তলব

৫ জুলাই ২০১৯

ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে সিরিয়ায় তেল নেয়ার সময় ইরানের একটি তেলবাহী ট্যাঙ্কার জব্দ করেছে ব্রিটিশ রয়্যাল মেরিন৷ এ ঘটনায় পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে ইরানের বিরোধ আরো বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3LcfH
Öltanker auf dem Weg nach Syrien in Gibraltar festgesetzt
ছবি: Reuters/Stringer

বৃহস্পতিবার জিব্রাল্টার প্রণালীতে ইরানের তেলবাহী বিশাল ট্যাঙ্কার ‘গ্রেস ওয়ান' আটক করে ব্রিটিশ নৌ সেনারা৷

ইরানের দাবি, যুক্তরাজ্য সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে তাদের তেলবাহী জাহাজ আটক করেছে৷ ট্যাঙ্কার জব্দের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে তেহরানে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷

যুক্তরাজ্যের এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন বলেছেন, ‘‘দুর্দান্ত খবর''৷ এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘‘অবৈধ বাণিজ্য বন্ধ করতে ইরান ও দামেস্কের বিরোধিতা করবে অ্যামেরিকা এবং আমাদের মিত্ররা৷''

জাহাজ জব্দ করার সময় তেলের উৎস আর জাহাজের মালিকানা নিয়ে কোনো তথ্য দেয়নি জিব্রাল্টার কর্তৃপক্ষ৷ তবে ইরান স্বীকার করেছে তেলবাহী ট্যাঙ্কারটির মালিক তারা৷ ঘটনাকে অবৈধ ‘অর্থনৈতিক যুদ্ধ' হিসেবে দেখছে ইরান৷

২০১১ সালে সিরিয়ায় তেল পাঠানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইউরোপ৷ এর আগে কখনো কোনো ট্যাঙ্কার আটকের ঘটনা ঘটেনি৷ কারণ, ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের মতো কঠোর অবস্থানে কখনো যায়নি ইইউ৷

ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই আক্রমণাত্মক অবস্থানকে ভিন্ন চোখে দেখছেন নিষেধাজ্ঞার ফাঁদে পড়া প্রতিষ্ঠানের আইনি পরামর্শক ম্যাথিও ওরেসম্যান৷ তার ধারণা, এই অঞ্চলে মার্কিন বাহিনী জোর করে ন্যাটো সদস্যের পাঠানোর সঙ্গে এই ঘটনার একটা যোগসাজশ থাকতে পারে৷

তিনি মনে করেন, ‘‘আমার মনে হয়, সিরিয়া ও ইরান তো বটেই, এ ঘটনা দিয়ে অ্যামেরিকাকেও একটা বার্তা দিতে চেয়েছে ইইউ৷ বোঝাতে চেয়েছে, অবরোধ আরোপের পর তদারকিতেও কতটা সিরিয়াস তারা৷ পাশাপাশি ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ক্ষেত্রেও যে-কোনো সময় কথা বলতে পারে ইইউ৷''

নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বন্ধুরাষ্ট্র সিরিয়াকে বরাবরই তেল দিয়ে সহযোগিতা করে ইরান৷ অথচ ইরান নিজেও অবরোধের মুখে৷ গত বছর তাদের ওপর অবরোধ আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র৷ গত মাসে একটি মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করলে ইরানের ওপর আবারো কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন ট্রাম্প৷ এমনকি বিমান হামলার প্রস্তুতি নিয়েও শেষ মুহূর্তে সরে আসেন ট্রাম্প৷

টিএম/এসিবি (রয়টার্স)