1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তরুণীর মৃত্যুদণ্ড স্থগিতের আবেদন

১২ অক্টোবর ২০১৬

স্বামী হত্যার অভিযোগে ইরানে ২২ বছরের এক মেয়ের মৃত্যুদণ্ড যে-কোনো সময় কার্যকর করা হতে পারে৷ তবে অ্যামনেস্টির অভিযোগ, মামলাটি নিরপেক্ষ ছিল না৷ তাই মৃত্যুদণ্ড স্থগিতের আবেদন জানিয়েছে সংস্থাটি৷

https://p.dw.com/p/2R99E
Iran Kurden Protestieren gegen die Hinrichtung von Rebellen
ছবি: Getty Images/AFP/S. Hamed

জয়নাব সেকানভান্দ লোকরান নামের তরুণীটির বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁর স্বামীকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়৷ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি বলছে, সেই সময় লোকরানের বয়স ১৮ বছরের কম ছিল৷ কিন্তু মামলার রায় ঘোষণার সময় সেটি বিবেচনায় নেয়া হয়নি৷

এছাড়া অ্যামনেস্টির দাবি, গ্রেপ্তার হওয়ার পর লোকরান প্রথমে স্বামী হত্যার অভিযোগ স্বীকার করলেও পরে যখন মামলার চূড়ান্ত পর্যায়ে তাঁকে (লোকরানকে) একজন সরকারি আইনজীবী দেয়া হয় তখন তিনি তা অস্বীকার করেন৷ সেই সময় তিনি দাবি করেন, তাঁর স্বামীর ভাই এই হত্যা করেছে, যিনি (স্বামীর ভাই) লোকরানকে কয়েকবার ধর্ষণ করেছেন৷ লোকরান বলেন, তাঁর স্বামীর ভাই তাঁকে প্রস্তাব দেন যে, তিনি (লোকরান) যদি স্বামী হত্যার অভিযোগ নিজের কাঁধে তুলে নেন তাহলে তাঁকে (লোকরান) ক্ষমা করে দেয়া হবে৷ উল্লেখ্য, ইসলামি আইন অনুযায়ী, নিহতের আত্মীয়স্বজন হত্যাকারীকে ক্ষতিপূরণের বিনিময়ে ক্ষমা করে দিতে পারেন৷

অ্যামনেস্টির অভিযোগ, মামলার রায় দেয়ার সময় আদালত লোকরানের প্রথম স্বীকারোক্তিটি (যেটি তিনি কোনো আইনজীবীর সামনে দেননি) আমলে নিয়েছে৷ পরবর্তীতে আইনজীবীর সামনে যে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সেটি আদালত বিবেচনায় নেননি৷

চলতি বছরের শুরুতে লোকরানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু লোকরান গর্ভবতী থাকায় (২০১৫ সালে তিনি কারাগারের এক সঙ্গীকে বিয়ে করেছিলেন) সেটি তখন স্থগিত করে বাচ্চা প্রসবের পর কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়৷ গত মাসের ৩০ তারিখে লোকরান সন্তান প্রসব করেন৷ কিন্তু তার দুদিন আগেই সেই সন্তান মারা যায় বলে জানান চিকিৎসক৷ কারাগারের এক বন্ধুর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় লোকরান যে শোক পেয়েছিলেন তাতেই বাচ্চার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷

এখন সন্তান প্রসব হয়ে যাওয়ায় যে-কোনো সময় লোকরানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে অ্যামনেস্টি৷

জেডএইচ/এসিবি (রয়টার্স, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল)

আপনার কি কিছু বলার আছে? লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷