1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরানি অর্থ গ্রহণের কথা স্বীকার করলেন কারজাই

Abdullah Al-Farooq২৫ অক্টোবর ২০১০

শেষপর্যন্ত আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই সোমবার স্বীকার করলেন যে, তাঁর দপ্তর প্রধান উমর দাউদজাই ইরানের কাছ থেকে নগদ হিসেবে প্রভূত অর্থ গ্রহণ করেছেন৷ অবশ্য তিনি এও জানিয়েছেন - অর্থ গ্রহণের বিষয়টি একেবারে স্বচ্ছ৷

https://p.dw.com/p/PnWd
আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইছবি: AP

সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যমে উমর দাউদজাই ইরানের কাছ থেকে নিয়মিত অর্থ গ্রহণ করে থাকেন, এজাতীয় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরপরই ইরান এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল৷ কাবুলস্থ ইরান দূতাবাস মার্কিন সংবাদমাধ্যমের এতদসংক্রান্ত খবর প্রকাশের বিষয়টিকে অবমাননাকর এবং অদ্ভূত বলেই উল্লেখ করেছিল৷

এই শনিবার মার্কিন নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল যে, কারজাই সরকারের দপ্তর প্রধান ওমর দাউদজাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধী শিবিরের অন্যতম দেশ ইরানের কাছ থেকে নিয়মিত মোটা অংকের অর্থ গ্রহণ করে থাকেন৷ এর পরপরই ইরান এই সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ করেছিল৷

কিন্তু আজ সোমবার আফগান প্রেসিডেন্ট শেষপর্যন্ত মার্কিন সংবাদমাধ্যমের সংবাদের সত্যতা প্রমাণ করলেন৷ তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁর সরকারের পক্ষে উমর দাউদজাই এর এই নগদ অর্থ গ্রহণের কথা স্বীকার করে বলেছেন, পৃথিবীর অনেক বন্ধু রাষ্ট্রই প্রেসিডেন্টের অফিসকে এরকম নগদ অর্থ সহায়তা দিয়ে থাকে৷ এটি স্বচ্ছ একটি বিষয়৷

অবশ্য কারজাই তার বক্তব্যে অর্থ সংক্রান্ত লুকোছাপার বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, এরমধ্যে লুকোচুরির কিছুই নেই৷ ইরানের এই অর্থ সহায়তার কারণে আমরা তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ৷ তিনি আরো বলেন, এরকম সহায়তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও করে থাকে৷ তারাও আমাদের এধরণের অর্থ সহায়তা করে৷

তিনি আরো জানিয়েছেন, ইরান আফগানিস্তানে তাঁর সরকারকে সহায়তা করার উদ্দেশ্যে বছরে একবার কি দু'বার এরকম ৭ লক্ষ ইউরো বা নয় লক্ষ আশি হাজার ডলারেরও বেশি অর্থ দিয়ে থাকে, এবং ওমর দাউদজাই তাঁর নির্দেশেই এই বিপুল অর্থ গ্রহণ করেছেন৷

ব্যাগভর্তি করে টাকা দেওয়ার বিষয়টি প্রসঙ্গে কারজাই বলেছেন, ‘হ্যাঁ, ব্যাগে করেই টাকা আসে বটে, কিন্তু এই বিষয়টিকে ইস্যু বানানো ঠিক নয়৷'

এই বিপুল অংকের টাকার বিপরীতে ইরান কি প্রত্যাশা করে? এমন এক প্রশ্নের উত্তরে ক্ষুব্ধ কারজাই উত্তর দিয়েছেন- ‘প্রদেয় এই অর্থের বিপরীতে ইরান কেবল সুসম্পর্কই চায়'৷ তিনি বলেন, ‘ইরান চায় আমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক৷ আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ইরান, সুতরাং প্রতিবেশীর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকুক আমরা তাই চাইবো৷' তিনি আরো বলেন, ইরানের সঙ্গে আফগানিস্তানের এই সুসম্পর্ক টিকে থাকবে এবং আমরা ভবিষ্যতে ইরানের কাছ থেকে আরো এমন অর্থ সাহায্য চাইবো৷'

নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনটিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, গত আগস্টে কারজাইয়ের ইরান সফরের শেষে তাঁর বিমানে দাউদজাই এর কাছে এমন আরেকটি টাকা ভর্তি প্লাস্টিকের ব্যাগ পৌঁছে দিয়েছিলেন কাবুলস্থ ইরানের রাষ্ট্রদূত ফিদা হুসেইন মালিকি৷ সংবাদমাধ্যমটি আরো জানিয়েছে, ইরানে আফগানিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত ওমর এখন আফগান প্রেসিডেন্টের মার্কিন বিরোধী মন্ত্রণাদাতা হিসেবে ইরানের স্বার্থ দেখে থাকেন৷

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহের শেষে রোমে ‘আফগানিস্তানের ভবিষ্যত' বিষয়ক এক আন্তর্জাতিক আলোচনার টেবিলে ইরান প্রথমবারের মতো মুখ খুলেছিল এই বলে যে, তেহরান আফগানিস্তানের শিশুদের শিক্ষা এবং আফগানিস্তান পুনর্গঠনে মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে থাকে৷

প্রতিবেদন: হুমায়ূন রেজা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক