1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরাকে হাসপাতালে আগুন, মৃত ৮২ করোনা রোগী

২৬ এপ্রিল ২০২১

অক্সিজেন কনটেনার ফেটে বাগদাদের হাসপাতালে আইসিইউ-তে আগুন। মৃত অন্তত ৮২ জন করোনা রোগী।

https://p.dw.com/p/3sZ4J
ইরাকে হাসপাতালে আগুন লেগে ৮২ জন করোনা রোগী মারা গেছেন।ছবি: Murtadha Al-Sudani/AA/picture alliance

ইরাকের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, বাগদাদের হাসপাতাল ইবন আল-খাতিব-এ এই ভয়াবহ ঘটনায় ১১০ জন আহতও হয়েছেন। সরকারের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গফিলতিতেই ঘটনা ঘটেছে।

অক্সিজেন ট্যাঙ্ক ফেটে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে সরকার জানিয়েছে। মানবাধিকার কমিশন জানিয়েছে, সেই সময় ২৮ জন করোনা রোগী ভেন্টিলেটারে ছিলেন। তারা সকলেই মারা গেছেন। তাছাড়া অনেক রোগী ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মারা যান।

হাসপাতালের এক কর্মী সংবাদসংস্থা এএফপি-কে জানিয়েছেন, মাঝরাতে এই ঘটনা ঘটে। তখন বেশ কিছু রোগীর আত্মীয় হাসপাতালে ছিলেন। বেশ কয়েকটি তলায় আগুন ছড়িয়ে যায়। রোগী ও অন্যরা প্রাণ বাঁচাতে জানালা থেকে লাফ মারতে থাকেন।

প্রত্যক্ষদর্শী আহমেদ জাকি রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ''আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আমি আমার ভাইকে নিয়ে প্রথমে বাইরে চলে আসি। তারপর আমি আবার ফিরে যাই। একেবারে উপরের তলায় আগুন লাগেনি। আমি একজন বছর উনিশের মেয়েকে দেখতে পাই। দমবন্ধ হয়ে সে মারা যাচ্ছিল। আমি তাকে কাঁধে নিয়ে দৌড়ে বাইরে আসি।''

জাকি জানিয়েছেন, ''মানুষ তখন জানলা দিয়ে লাফাচ্ছেন। চিকিৎসকরাও লাফিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছেন। আমি উপরের দিকে ওঠার চেষ্টা করতে থাকি। মানুষ তখন নীচের দিকে নামছেন।''

Irak | Corona-Intensivstation | Mehr als 20 Tote bei Brand in Krankenhaus in Bagdad
আগুন থামার পর হাসপাতালের ভিতরের অবস্থা। ছবি: Thaier Al-Sudani/REUTERS

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রায় দুইশ মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে।

এই ঘটনার পর ইরাকের প্রেসিডেন্ট স্বাস্থ্যমন্ত্রী সহ স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কয়েকজন প্রধান কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেন। বাগদাদের স্বাস্থ্য বিভাগের ডিজি-কেও বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ''এই ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে গাফিলতি ভুল নয়, এটা অপরাধ। যারা গাফিলতি করেছেন, তাদের শাস্তি পেতে হবে।''

প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, ''বছরের পর বছর ধরে অবহেলা, দুর্নীতি ও অব্যবস্থার ফলে এই ঘটনা ঘটেছে।''

আরব দুনিয়ায় ইরাকেই করোনা রোগীর সংখ্যা সব চেয়ে বেশি। সব হাসপাতাল ভর্তি। দীর্ঘদিনের সংঘাতের ফলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বেহাল।

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)