1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরাকে বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বাড়ছে

৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০

ইরাকে শিয়া তীর্থযাত্রীদের উপর এক আত্মঘাতী হামলায় প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে ২৫ জন, আহত শতাধিক৷ কারবালা অভিমুখে যাত্রারত লাখ লাখ শিয়া তীর্থযাত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হিমশিম খাচ্ছে ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনী৷

https://p.dw.com/p/LrgK
শুক্রবার কারবালায় ইমাম হুসেনের সমাধিকে কেন্দ্র করে জড়ো হবে বেশ কয়েক লাখ শিয়া মুসলমান (ফাইল ফটো)ছবি: AP

দক্ষিণ ইরাকের কারবালা শহর অভিমুখে শিয়া তীর্থযাত্রীদের ভিড়ের মধ্যে বোমা হামলায় প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে ২৫ জন, আহত হয়েছে কমপক্ষে ১১৫ জন৷ জার্মান বার্তা সংস্থা ডিপিএ জানিয়েছে, এক আত্মঘাতী হামলাকারী মোটর সাইকেল নিয়ে তীর্থযাত্রীদের ভিড়ের মধ্যে ঢুকে পড়ে এবং বিস্ফোরণ ঘটায়৷ নিহতদের মধ্যে এক নারীসহ তিন শিশু রয়েছেন৷

অবশ্য বার্তা সংস্থাগুলোর মধ্যে হামলার ধরণ নিয়ে দ্বিমত রয়েছে৷ ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপি ইরাকের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, বিস্ফোরকভর্তি একটি বাসে বিস্ফোরণ ঘটায় আত্মঘাতী হামলাকারী৷ অন্যদিকে, কারবালার মেয়রের দাবি, এটি ছিল গাড়ি বোমা হামলার ঘটনা৷

এদিকে, দক্ষিণ বাগদাদের আল-আমাল এলাকায় একটি শিয়া মসজিদের কাছে অপর এক বোমা হামলায় আহত হয়েছে তিনজন৷ পুলিশের বরাত দিয়ে ইরাকের সংবাদ সংস্থা আস-ওয়াত আল ইরাক জানিয়েছে এই খবর৷ ভুক্তভোগীরা তীর্থযাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলে খবরে প্রকাশ৷

উল্লেখ্য ইমাম হুসেনের মৃত্যুদিনের ৪০ দিন পরে কারবালায় শোকপর্বের অন্ত পালন করা হয়৷ এবছর এই পর্বে যোগ দিতে পঞ্চাশ লাখেরও বেশি শিয়া তীর্থযাত্রী ইরাকের বিভিন্ন স্থান থেকে পায়ে হেঁটে কারবালা অভিমুখে যাত্রা করেছে৷ আগামী শুক্রবার কারবালায় ইমাম হুসেনের সমাধিকে কেন্দ্র করে এই পর্ব পালন করবে তারা৷

বলাবাহুল্য শিয়াদের এই বৃহৎ ধর্মীয় সমাবেশের নিরাপত্তা প্রদানে হিমশিম খাচ্ছে ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনী৷ এজন্য প্রায় ত্রিশ হাজার সেনা এবং পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে৷ আকাশে চক্কর দিচ্ছে মার্কিন সামরিক হেলিকপ্টার৷ কিন্তু তারপরও হামলা ঠেকানো যাচ্ছে না৷ মঙ্গলবার ইরাকের কান্তারাত আল-সালাম এলাকায় শিয়া তীর্থযাত্রীদের লক্ষ্য করে চালানো বোমা হামলায় প্রাণ হারায় ২ জন, আহত হয় ১১ জন৷ সোমবার শিয়া তীর্থযাত্রীদের ভিড়ে চালানো অপর এক হামলায় নিহত হয় ৫৪ জন, আহত ১১৭ জন৷

তীর্থযাত্রীদের উপর চালানো সর্বশেষ হামলার দায় এখনো কেউ স্বীকার করেনি৷ তবে, ইরাকের রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা এপি জানায়, সুন্নি চরমপন্থীরা সম্ভবত এই হামলা চালিয়েছে৷ রয়টার্সের দাবি, আল-কায়েদা জঙ্গি গোষ্ঠী সবসময়েই শিয়াপন্থীদের সমাবেশে বোমা হামলার চেষ্টা করে থাকে৷ আর তাই এই হামলার পেছনে তাদের হাত থাকাও অসম্ভব নয়৷

প্রসঙ্গত, ইরাকের ক্ষমতাচ্যুত শাসক সাদ্দাম হোসেনের শাসনকালে শিয়া সম্প্রদায়ের এধরণের ধর্মীয় সমাবেশ নিষিদ্ধ ছিল৷ ২০০৩ সালে সাদ্দামের পতনের পর শিয়া গোষ্ঠী ইরাকে আবারো তাদের ধর্মীয় উৎসব উদযাপনের সুযোগ পায়৷

প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী