1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরাককে সামরিক সহায়তা

১৪ আগস্ট ২০১৪

ইরাক সরকারকে সামরিক সহায়তা দিতে পারে জার্মানি৷ এ নিয়ে কয়েকদিন ধরেই চলছে জল্পনা-কল্পনা৷ এক্ষেত্রে ইউরোপীয় সঙ্গীদের সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার৷

https://p.dw.com/p/1CtWm
Irak Flüchtlinge Jesiden 11. August
ছবি: AHMAD AL-RUBAYE/AFP/Getty Images

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আরো দুই মন্ত্রীর বক্তব্য বিদেশে সামরিক সহায়তা পাঠানোর ক্ষেত্রে জার্মানির নীতিতে পরিবর্তনের আভাস দিচ্ছে৷ অথচ সোমবার জার্মান সরকারের মুখপাত্র জানান, সংকটপূর্ণ এবং যুদ্ধ এলাকায় জার্মানি অস্ত্র রপ্তানি করে না৷ আর বিগত সরকারের এই নীতি বর্তমান সরকারও অনুসরণ করছে৷

তবে উগ্র ইসলামপন্থি সন্ত্রাসী সংগঠন ‘ইসলামিক স্টেট' বা আইএস এর নাটকীয় উত্থানের কারণে জার্মানিকে এখন বিকল্প ভাবতে হচ্ছে৷ ইরাকের উত্তরাঞ্চলে বর্তমানে বেশ কয়েক হাজার মানুষ গণহত্যার শিকার হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে৷ আর এটা প্রতিরোধ গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন জার্মানির উপ-চ্যান্সেলর সিগমার গাব্রিয়েল৷ সংখ্যালঘু ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের মানুষদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি বলেন, ‘‘সেখানে (ইরাকের উত্তরাঞ্চলে) গণহত্যার প্রস্তুতি চলছে৷''

ইরাকের কুর্দি অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট মাসুদ বারজানি গত রবিবার কুর্দি বাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান৷ তবে জার্মানি কুর্দিদের নয়, ইরাক সরকারকে অস্ত্র সহায়তা দেয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছে৷ জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী উর্সুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন জানান, ইরাককে ‘‘প্রাণঘাতী নয়'' এমন সামরিক সরঞ্জাম যেমন সাজোয়া যান কিংবা ‘বুবি ট্র্যাপ ডিটেকটর', হেলমেট এবং প্রতিরক্ষামূলক বর্ম প্রদান করা যেতে পারে৷ তবে সেগুলোর গ্রহণকারী হবে ইরাকি সরকার৷

জার্মানির পাবলিক ব্রডকাস্টার এআরডি-কে ফন ডেয়ার লাইয়েন বলেন, ‘‘আমরা যদি একটা গণহত্যার আশঙ্কা করি, আর সেটা যদি কেউ বন্ধে সমর্থ না হয়, তাহলে জার্মানি সেটা বন্ধে উদ্যোগ নেয়ার ব্যাপারে আলোচনা করা যেতে পারে৷''

তবে জার্মান সংসদের নিম্নকক্ষের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান নরবার্ট ব়্যোটগেন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ইরাকে অস্ত্র সরবরাহ করা হলে তা জার্মানির অস্ত্র রপ্তানি নীতির লঙ্ঘন হবে৷ তাই তিনি এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে সংসদে আলোচনাকে গুরুত্ব দিয়েছেন৷ শুধুমাত্র সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে না বলেই মত তাঁর৷

উল্লেখ্য, ইরাকের উত্তরাঞ্চলে বেশ কয়েক হাজার খ্রিষ্টান, ইয়াজিদি সম্প্রদায় এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ আইএস-এর ভয়ে পাহাড়ে আশ্রয় নিয়েছে৷ বর্তমানে কুর্দি সেনারা তাদের রক্ষা করছে৷ পাশাপাশি মার্কিন বাহিনী বিমান হামলার মাধ্যমে আইএস জঙ্গিদের আগ্রাসন প্রতিরোধের চেষ্টা করছে৷

এআই/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য