1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইন্টার হেরেও জিতল বার্সার নু ক্যাম্পে

২৯ এপ্রিল ২০১০

খেলার ২৮ মিনিটের মাথায় দশজন হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও ইন্টার মিলান বার্সেলোনা’কে উঠতে দিল না চ্যাম্পিয়নস লীগের ফাইনালে৷ ১-০ গোলে হেরেও এ্যাগ্রেগেটে ৩-২ গোলে জিতল ইন্টার৷

https://p.dw.com/p/N94c
ছবি: AP

অট্টহাসি নয়, মুচকি হাসি দেখতে পাওয়া যাবে মিউনিখে, বায়ার্ন কোচ লুই ফ্যান গাল-এর মুখে৷ মঙ্গলবার বায়ার্ন লিঅঁ-তে জেতার পর নাকি ফ্যান গাল তাঁর বন্ধু, ইন্টারের কোচ হোসে মুরিনহো'কে এসএমএস করেছিলেন: এবার তোমরা জিতলেই আমাদের মাদ্রিদে মোলাকাত হবে৷ আর ফ্যান গালের এখন যা সময় চলেছে, তা'তে তিনি যা বলেন, তা'ই সত্যি হয়ে যায়৷

অবশ্য গতবারের চ্যাম্পিয়নস লীগ বিজয়ী এফসি বার্সেলোনা, ফ্যানদের প্রিয় বার্সা, কোচ পেপ গুয়ার্দিওলা'র গতবারের ত্রিমুকুট জয়ী টীম বার্সা, ইউরোপ এবং এমনকি হয়তো বিশ্বের সেরা ফুটবল ক্লাব বার্সা গত সপ্তাহে বাসে করে হাজার মাইল পার হয়ে মিলানে গিয়ে অতি মিটমিটে খেলা দেখিয়েছে এবং সঙ্গত কারণেই ৩-১ গোলে হেরে ফিরেছে৷ এবং যেমন ধুর্ত, তেমনই শৃঙ্খলাবদ্ধ, তেমনই ডিফেন্সিভ ইটালিয়দের বিরুদ্ধে গোল করাটা যে কোনোকালেই খুব সহজসাধ্য নয়, সেটা বোধহয় বার্সেলোনার সবাই'এর জানা ছিল৷

বোধ করি ইটালিয় ফুটবল এবং মুরিনহো'কে যারা চেনেন, তারা বলবেন, ২৮ মিনিটের মাথায় থিয়াগো মোট্টা'র লাল কার্ড দেখাই মিলান'কে জিতিয়ে দিল৷ কেননা তার পর আর ইটালিয়দের প্রতিরোধ ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না৷ এবং তারা একবার খুঁড়ে বসলে যে লিওনেল মেসি'রও ধার ভোঁতা হয়ে যায়, তার প্রমাণও পাওয়া গেল: প্রথমার্ধের একটি প্রচেষ্টা ছাড়া মেসি যেন থেকেও ছিল না৷

বেড়ালের ভাগ্যে শিকে ছেঁড়ার মতো ৮৪ মিনিটের মাথায় জেরার্দ পিকে'র গোল৷ আর স্টপেজ টাইমে বোইয়ান ক্রিকিচ-এর গোলটা হ্যান্ডবল না ধরলে - ভাবা যায়? - বার্সেলোনাই ফাইনালে উঠত৷ কিন্তু যদির কথা নদীতে ফেলে আমরা বলতে পারি, বার্সেলোনা'র যাত্রাভঙ্গ করতে পেরে মুরিনহো'র উল্লাস অনেকের কিছুটা বিসদৃশ মনে হয়েছে৷ নু ক্যাম্পের এই ‘পরাজয়'-কে তিনি ‘কিংবদন্তীস্বরূপ, ঐতিহাসিক' ইত্যাদি নানা কিছু বলে ফেলেছেন৷

অবশ্য মুরিনহোর ‘ঐতিহাসিক' উচ্ছ্বাসের কারণটা হল এই যে, ইন্টার শেষবার ইউরোপীয় কাপ ফাইনালে খেলেছে ১৯৭২ সালে৷ আর তারা শেষবার ঐ খেতাবটি জয় করে ১৯৬৫ সালে৷ কিন্তু ২০১০-এ সেই ভেলকি আরেকবার দেখানোর পথ জুড়ে দাঁড়িয়ে আছে এমন একটি টীম, যারা এই মরশুম অত্যন্ত নড়বড়ে ভাবে শুরু করে আজ ত্রিমুকুট জয়ের পথে৷ রিবেরি না থাকলেও, রবেন-অলিচ মাঠে থাকবে মাদ্রিদে৷ আর ফ্যান গাল বন্ধুত্বের খাতিরে বায়ার্নের পাক্কা দশ বছর পরে হাতের নাগালে পাওয়া চ্যাম্পিয়নস লীগ খেতাবটা নিশ্চয় ছেড়ে দেবেন না?

প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম