ইতিহাস ঐতিহ্যের স্ট্রাসবুর্গ
ফ্রান্স ও জার্মানির অধিবাসীদের মনে স্ট্রাসবুর্গ মানেই ইতিহাস, ঐতিহ্য ও আধুনিকতার অনন্য মিশেল৷ গোটা ইউরোপের সবচেয়ে বড় ও আকর্ষণীয় ক্রিসমাস মার্কেট বসে এই শহরে৷ সম্প্রতি এই শহর আবার খবর হয়েছে নারকীয় জঙ্গি হামলার কারণে৷
আধুনিকতা ও ঐতিহ্য একসঙ্গে
সারি সারি শতবর্ষী গির্জা, মাঝে-মাঝে জাদুঘর, কিংবা আধুনিক ইউরোপের কোনো স্থাপত্য নিদর্শন৷ এই জিনিসগুলোই ফ্রান্সের আঞ্চলিক রাজধানী অ্যালস্যাসের প্রধান শহর স্ট্রাসবুর্গকে সবার থেকে আলাদা করেছে৷
ইতিহাসের আধার
স্ট্রাসবুর্গ মানেই হচ্ছে এর ঐতিহ্যবাহী গির্জা, তথা স্ট্রাসবুর্গ ক্যথেড্রাল৷ কথিত আছে জার্মানি ও ফ্রান্সের গড়ে ওঠার ইতিহাস জানতে হলে এই ক্যাথেড্রাল ভ্রমণই যথেষ্ট৷
ক্যামারজেল হাউস
স্ট্রাসবুর্গের সবচেয়ে পরিচিত ভবনের মধ্যে ক্যামারজেল হাউস একটি৷ মুনস্টারপ্লাৎস ক্যাথেড্রাল স্কয়ারের এই ভবনটি ১৫ শতকে নির্মিত৷ বলা হয়ে থাকে, গথিক স্থাপত্যের অনন্য উদাহরণ এটি৷
ত্রয়োদশ শতকের সেতু
সারি সারি টাওয়ার আর সেতুর মিলমিশের দেখা মেলে এই স্ট্রাসবুর্গ শহরে৷ ১৩ শতকে ইল নদীর ওপর এইসব টাওয়ার ও সংযোগ সেতু নির্মিত হয়৷ সুউচ্চ এইসব টাওয়ারের ওপরে কাঠ নির্মিত ছাউনিগুলো তৈরি করা হয়েছিল যুদ্ধকালীন সময় শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে৷
প্যালেস রোহান
প্যালেস রোহান হচ্ছে বোরাক স্থাপত্যশিল্পের আরেকটি অসাধারণ নিদর্শন৷ পঞ্চদশ শতকে প্রিন্স ও বিশপদের আবাসিক এই ভবনটিকে ১৯ শতক থেকে শিল্প ও চারুকলার জাদুঘর হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে৷
গুটেনবার্গের শহর
আধুনিক প্রকাশনা শিল্পের উদ্ভাবক জোহান গুটেনবার্গের স্মরণে এই শহরে রয়েছে গুটেনবার্গ স্কয়ার৷ তাঁর একটি মূর্তিও স্থাপন করা হয়েছে৷ তিনিই প্রথম ১৪৫০ সালে জার্মানিতে প্রথম মুদ্রিত বাইবেল প্রকাশ করেন৷
সমকালীন চারুকলার জাদুঘর
আধুনিক ইউরোপীয় চিত্রকলার জাদুঘরটি গড়ে তোলা হয়েছে এই স্ট্রাসবুর্গ শহরেই৷ ১৯৯৮ সালে এই জাদুঘরের কাজ শেষ হয়৷ ইউরোপীয় আধুনিক চিত্রকলার ধারক ম্যাক্স আর্নেস্ট ও অগাস্ট রডিনের মাস্টারপিস বলা হয় এই ভবনের স্থাপত্যকে৷