ইটালির দীর্ঘতম নদী পো-এর কান্না
৭০ বছরের মধ্যে এমন খরা আর কখনো দেখেনি ইটালির মানুষ৷ ভয়াবহ খরায় শুকিয়ে যাচ্ছে নদী, খাল, পুকুর, নালা৷ খরার ভয়াবহতা বোঝা যায় পো-এর দিকে তাকালেই৷নদীটির বড় একটা অংশে এক ফোঁটা পানিও নেই৷ দেখুন ছবিঘরে...
যেন বনের মাঝে প্রশস্ত এক রাস্তা
ইটালির সবচেয়ে দীর্ঘ নদী পো-এর বিভিন্ন অংশের অবস্থা এখন এরকম৷ দু পাশে রয়েছে সারি সারি সবুজ গাছপালা৷ মাঝে শুকিয়ে যাওয়া নদীটিকে দেখে মনে হয় যেন প্রশস্ত এক মাটির রাস্তা৷ ছবির এই মানুষটিকে দেখে মনে হয় যেন রাস্তা দিয়েই হেঁটে যাচ্ছেন৷
পানির চিহ্ন
ওপর থেকে তোলা এই ছবিতে অবশ্য পো নদীর এখানে-ওখানে একটু একটু পানির চিহ্ন দেখা যায়৷ পানির চেয়ে অবশ্য কাদাই বেশি৷
তৃষ্ণার্ত ব্যাঙ
পো নদীতে নেমে ব্যাঙটি খুব বিপদে পড়েছে৷ তৃষ্ণা মেটানোর জন্য পানি চাই, কিন্তু তার চোখ যেদিকে যায় সেদিকেই যেন শুধু মরুভূমি৷ একটু পানির জন্য বহুদূর যেতে হবে তাকে৷
বিরল দৃশ্য ধারণ
এই নারী আগে কখনো ইটালির সবচেয়ে বড় নদীটির এমন দুরবস্থা দেখেননি৷দৃষ্টিসীমানায় পানির চিহ্নই তো দেখা যাচ্ছে না৷ খরার কারণে প্রায় মৃত প্রিয় নদীটির ছবি তুলে রাখছেন তিনি৷
ব্রিজের নীচেও স্থলপথ!
পো নদীর এই জায়গাটায় সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল স্থলপথে চলতে পারে এমন সব বাহনে চড়ে এপার-ওপার যাতায়াতের জন্য৷ এখন যা অবস্থা তাতে অবশ্য ব্রিজ না থাকলেও হেঁটেই যাতায়াত করা যেতো৷
মাছ ধরা
৭০ বছরের মধ্যে ভয়াবহতম খরায় অনেক জায়গা একেবারে শুকিয়ে গেলেও কোথাও কোথাও এখনো শীর্ণ দেহ নিয়ে অস্তিত্ব কোনোরকমে টিকিয়ে রেখেছে পো৷ সেসব জায়গায় এখনো কেউ কেউ এভাবে মাছ ধরতে জাল ফেলেন৷
অচল জলযান
নদী শুকিয়ে গেছে৷ তীরে আটকে গেছে জলযান৷ আবার বৃষ্টি হবে, আবার ঢেউ উঠবে, পো-এর বুকে আবার তখন ভেসে বেড়ানো যাবে- এখন শুধু সেই সুদিনের অপেক্ষা৷
নদী ও নারী
ইটালির সবচেয় বড় নদী, সুপেয় পানির সবচেয়ে বড় এই উৎস শুকিয়ে গেলেও কারো কারো কাছে এর আকর্ষণ এখনো ফুরোয়নি৷ পো ডেকে ‘‘দাঁড়াও পথিকবর,..... তিষ্ঠ ক্ষণকাল’’ না বললেও এই নারীর মতো এখনো অনেকেই নদীর কাছে আসেন, বসেন৷