ইটালিতে ঘরবন্দি জীবনে আনন্দের রং

দু বছরের মেয়ে বিয়াংকার সঙ্গে মজা করার জন্য সং সাজছেন সান ফিওরানোর এক স্কুল শিক্ষক বাবা।

ইটালির উত্তরাঞ্চলের শহর কদানোর এক সুপার মার্কেটের সামনের রাস্তায় ক্রেতাদের লম্বা লাইন।

লম্বা লাইনে অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর সুপার মার্কেটে ঢুকে এমন খালি তাকও দেখতে হয় ক্রেতাদের।

করোনা ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে হবে, তাই ফুটবল খেলার সময়ও মাস্ক পরতে ভোলেনি দাদা-নাতনি।

ঘরের মেঝে পরিষ্কার করছেন সান ফিওরানো শহরের এক প্রবীণ, পাশেই ব্যালেরিনার স্কার্ট পরে খেলায় ব্যস্ত নাতনি বিয়াংকা।

এক বাড়ির দরজায় ছোট্ট কাগজে লেখা, ‘‘ঈশ্বর, ইটালিকে তুমি রক্ষা করো!’’

ঘরে সমবয়সি কেউ নেই। বিয়াংকার নিত্যসঙ্গী তাই পুতুল। পুতুল পাশে নিয়ে ঘুমাচ্ছে দু'বছরের বিয়াংকা।

বাড়ির সামনে কতগুলো শামুক ধরে এনে কাগজে সাজিয়ে তাদের সঙ্গে খেলছে বিয়াংকা।

চাইলেও যেখানে সেখানে ঘুরে বেড়ানো যায় না। গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়া একজনকে জেরা করছে পুলিশ।

বাড়িতে যাদের নিয়মিত ওষুধ খেতে হয়, তাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ সব ওষুধ নিয়ম মেনে গুছিয়ে রাখা। সেই কাজই করছেন একজন।

নিজের কাপড় ধুয়ে শুকাতে দিচ্ছেন এক প্রবীণ।

ঝলমলে রোদ উঠেছে। সময় ভালো হলে দূরে কোথাও গিয়ে সূর্যের উষ্ণতা গায়ে মাখা যেতো। লকডাউনে তার উপায় নেই বলে বাড়ির কাছের জঙ্গলে শুয়েই সেই স্বাদ নিচ্ছেন চিয়ারা।

ছবি আঁকতে ইচ্ছে করছে, তাই বাবার পা-ই বিয়াংকার ক্যানভাস!

প্রবীণ স্বামীর হাত ধুয়ে দিচ্ছেন স্ত্রী।

কদোনা শহরে মাস্ক পরে, সামাজিক দূরত্বের নিয়ম মেনেই চলছে ভলিবল প্রশিক্ষণ।

দোকান খুলেছেন সিলভিয়া। কিন্তু ফিওরানোর দোকানে এখন ক্রেতার বড় অভাব।

ফিওরানোর রাস্তার পাশে তাস খেলায় ব্যস্ত চারজন। সংক্রমণ এড়াতে মাস্ক পরতে ভোলেননি কেউ।

করোনাকালেও কোনো এক রসিকের রসিকতা, ফিওরানো শহরে মূর্তির মুখে ও তাই মাস্ক!