1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপ কি কঠিন চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত?

৪ জুলাই ২০১৯

ব্রেক্সিট, বাণিজ্য যুদ্ধ, শরণার্থী সংকট, পরিবেশ বিপর্যয়ের মতো কঠিন সংকটের মুখে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতৃত্ব নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছে না৷ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের অনুমোদনের অপেক্ষায় আটকে রয়েছে সিদ্ধান্ত৷

https://p.dw.com/p/3LYhY
Flaggen der EU vor Europaparlament in Straßburg
ছবি: picture-alliance//dpa/Tass/A. Vitvitsky

ইইউ সদস্য দেশগুলি শীর্ষ পদের জন্য মনোনয়ন চূড়ান্ত করলেও ইউরোপীয় পার্লামেন্টের অনুমোদন ছাড়া সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা সম্ভব নয়৷ অথচ বিভিন্ন রাজনৈতিক শিবিরের পূর্বঘোষিত প্রার্থীদের বদলে আচমকা নতুন নাম উঠে আসায় পার্লামেন্টের অনেক সদস্যের মনে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে৷ ইউরোপে গণতন্ত্র বিশ্বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকে৷ ফলে পার্লামেন্টে অনুমোদনের প্রক্রিয়া যে সহজ হবে না, তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে৷ চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে এই প্রশ্নে ভোটাভুটি হবার কথা৷ প্রার্থীরা অনুমোদন পেতে ব্যর্থ হলে গোটা প্রক্রিয়া আবার নতুন করে শুরু করতে হবে৷ গুরুত্বপূর্ণ এই সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে এমন অচলাবস্থার পরিণাম সম্পর্কে সতর্ক করে দিচ্ছে অনেক মহল৷ এমন প্রেক্ষাপটে জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন ও বাকি মনোনীত প্রার্থীরা ইউরোপীয় পার্লামেন্টের আস্থা অর্জন করার প্রচেষ্টা শুরু করছেন৷ ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট পদে মনোনীত ফন ডেয়ার লাইয়েন বুধবার স্ট্রাসবুর্গ শহরে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন৷ তিনি বলেন, সবার আগে তিনি পার্লামেন্টকেই বেছে নিয়েছেন, কারণ সেখানেই ইউরোপের গণতন্ত্রের হৃদস্পন্দন ঘটে৷ ফন ডেয়ার লাইয়েন বলেন, কমিশনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি পার্লামেন্ট, কমিশন ও নির্বাচিত সরকারগুলির পরিষদের মধ্যে নিবিড় সহযোগিতার উদ্যোগ নিতে চান৷ আগামী ৫ বছরের কার্যকালে একটি রূপরেখাও প্রস্তুত করছেন তিনি৷ সংখ্যার বিচারে ফন ডেয়ার লাইয়েন ইউরোপীয় পার্লামেন্টে যথেষ্ট ভোট পাবেন, এ বিষয়ে এই মুহূর্তে তেমন সন্দেহ নেই বটে, কিন্তু গোটা প্রক্রিয়াকে ঘিরে পার্লামেন্টে যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে, তা কাটিয়ে তুলে তিনি আরো সমর্থন আদায় করতে চাইছেন৷জার্মানিতে মহাজোট সরকারের শরিক এসপিডি দল তাঁর মনোনয়নের তীব্র বিরোধিতা করছে৷ সবুজ দলও এই সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে৷ সরকার এখনই ভেঙে না গেলেও চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে নতুন করে সংশয় দেখা দিচ্ছে৷ উল্লেখ্য, ফন ডেয়ার লাইয়েনের মনোনয়নের সময়ে একমাত্র শীর্ষ নেতা হিসেবে ম্যার্কেল ভোটদানে বিরত থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন৷

ইউরোপের নেতা হিসেবে ম্যার্কেল আরো দুর্বল হয়ে পড়লেও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ গোটা প্রক্রিয়ার উপর নিজস্ব প্রভাব জোরালো করতে সমর্থ হয়েছেন৷ তাঁরই আপত্তির জের ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক শিবিরের শীর্ষ প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হন৷ ফলে নতুন করে প্রার্থী তালিকা স্থির করতে হয়৷

বুধবার ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ইটালির সমাজতান্ত্রিক প্রার্থী ডাভিড-মারিয়া সাসোলিকে আগামী আড়াই বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করেছে৷ দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণে সাসোলি প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছেন৷ ইইউ সদস্য রাষ্ট্রগুলির পরিষদের প্রস্তাব ছাড়াই পার্লামেন্ট নিজস্ব উদ্যোগে এই পদ পূরণ করেছে৷ ফলে বাকি পদগুলি সম্পর্কে সদস্যদের ক্ষোভ কিছুটা প্রশমিত হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এপি)