1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরোপে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয় জাল ওষুধের পেছনে

২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০

ইন্টারনেটের কল্যাণে ইউরোপে জাল ওষুধ কিনছেন মানুষ৷ এসব ওষুধের ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়ার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করছে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো৷ বহুজাতিক কোম্পানি ফাইজার-এর এক সমীক্ষায় জাল ওষুধের ছবি পাওয়া গেছে৷

https://p.dw.com/p/MBcn
সম্প্রতি জার্মানির মিউনিখ শহরে প্রাপ্ত কিছু জাল ওষুধছবি: picture-alliance/ dpa

জার্মানরা এবং ইটালীয়রা সবচেয়ে বেশি শুধুমাত্র প্রেসক্রিপশনের ওষুধ ক্রয় করেন প্রেসক্রিপশন ছাড়া৷ হয় ইন্টারনেটে না হয় বিদেশ সফরে গিয়ে, অথবা বন্ধু-বান্ধব মারফত৷ নকল, জাল ওষুধে থাকে ভুল অথবা এমনকি বিষাক্ত উপাদান৷ আর এগুলো বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যের জন্য ক্রমবর্ধমান হুমকি সৃষ্টি করছে বিশেষ করে দরিদ্র দেশগুলোতে৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডাব্লিউ এইচ ও এসব কথা জানিয়েছে৷

ফাইজার হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান৷ এর ভায়াগ্রা পিল এবং কলেস্টরলের ওষুধ লিপিটর হল দুটি উল্লেখযোগ্য ওষুধ যা জাল হচ্ছে৷

Medikamente Internet Viagra
ইন্টারনেটের মাধ্যমে কেনা ভায়াগ্রা পিল জাল হচ্ছে ব্যাপক হারেছবি: picture-alliance/ dpa

সমালোচকরা বলছেন যে, ওষুধ শিল্প ওষুধপত্রের সরবরাহ ও প্যাকেজের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপের চেষ্টা করছে যাতে তাদের ব্র্যান্ডের কোন ক্ষতি না হয়৷ কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়ন সমস্যাটিকে খুব গুরুত্ব দিয়েছে৷ ইইউ এর বিদায়ী শিল্প কমিশনার জার্মানির গ্যুন্টার ফেরহয়গেন গত ডিসেম্বরে বলেছিলেন, তিনি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন এই কারণে যে, মাত্র দুই মাসে ইইউ এর শুল্ক কেন্দ্রে তিন কোটি চল্লিশ লাখ জাল ওষুধ আটক করা হয়৷

ইউরোপীয়ান অ্যালায়েন্স ফর অ্যাকসেস টু সেফ মেডিসিন অর্থসাহায্য পায় ওষুধ শিল্প থেকে৷ কিন্তু এর চেয়ারম্যান জিম থমসন বলেন, তাঁর গোষ্ঠীর বিভিন্ন পরীক্ষা থেকে দেখা গেছে যে, অনলাইনে কেনা ৬২ শতাংশ ওষুধই জাল, নকল অথবা নিম্ন মানের৷ এর পেছনে কি ওষুধ শিল্পের স্বার্থ রয়েছে ?

18.07.2006 projekt zukunft fragezeichen
এই ছবিটিকেই খুঁজছেন আপনি৷ ছবিটির ডেট: 26-27-28/02 এবং কোড: 7493 পাঠিয়ে দিন bengali@dw-world.de ঠিকানায় অথবা এসএমএস করুন 0088 0173 030 2205, ভারত: 0091 98309 97232 নম্বরে৷ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে জিততে পারেন আকর্ষণীয় সারপ্রাইজ গিফট …ছবি: DW-TV

হ্যাঁ, নিশ্চয়ই৷ কিন্তু সমাজের রয়েছে এগুলো বন্ধ করার আরো বড় স্বার্থ৷ এ কথা তিনি বলেন, বার্তা প্রতিষ্ঠান রয়টার্স এর কাছে৷

জাল ওষুধ আটকানোর পেছনে ওষুধ শিল্প ব্যয় করছে বিপুল পরিমাণ অর্থ৷ চৌদ্দটি দেশে চৌদ্দ হাজার মানুষের ওপর পরিচালিত সমীক্ষায় একুশ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন তাঁরা অনেক ওষুধ ক্রয় করেছেন অবৈধ উপায়ে৷ এদের হার হল জার্মানিতে ৩৮ শতাংশ এবং ইটালিতে ৩৭ শতাংশ আর ব্রিটেন ও হল্যান্ডে যথাক্রমে বারো ও দশ শতাংশ৷

প্রতিবেদক : আবদুস সাত্তার

সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক