1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পুরানো আমলের সাইকেলের কদর

২৪ মে ২০১৮

ই-বাইক, কার্বন দিয়ে তৈরি হালকা আধুনিক মডেল আজ সাইকেলকে ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে গেছে৷ কিন্তু ইউরোপে পুরানো আমলের ঐতিহাসিক সাইকেলের আকর্ষণ বেড়েই চলেছে৷ তরুণ প্রজন্মও পুরানো সাইকেল চালাতে চাইছে৷

https://p.dw.com/p/2yDwL
ছবি: Imago

পেয়ার-ওলফ কিপেল যখন তাঁর পেনি-ফার্দিং সাইকেল নিয়ে পথে বেরোন, তখন সবাই তাকিয়ে থাকে৷ সুইডেনের দক্ষিণে টুমেলিলা শহরে বসবাস করেন এই স্থপতি৷ এত উঁচু জায়গায় বসে প্রতিবার রোমাঞ্চ অনুভব করেন তিনি৷ কিপেল বলেন, ‘‘এমন সাইকেল খুব ভালোবাসি৷ চালাতে অসাধারণ লাগে৷ মুক্তির স্বাদ পাই৷ এই অনুভূতি ভয়, গতি, আবেগ, ভালবাসা, পাগলামি, আনন্দের এক মিশ্রণ৷’’

২০১৩ সালে পেয়ার-ওলফ একাই পেনি-ফার্দিং সাইকেল তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন৷ তিনি কিন্তু কোনো ঐতিহাসিক মডেলের অনুকরণ করেন না৷ আধুনিক রূপেই সেগুলি তৈরি করেন৷ তাঁর ‘স্ট্যান্ডার্ড হাইহুইল’ মডেলের মূল্য ১,৫০০ থেকে ১,৮০০ ইউরো৷ তিনি বলেন, ‘‘এটা সত্যি একটা আইকন৷ বাইসাইকেলের আইকনিক ডিজাইন৷ অত্যন্ত সহজ সরল৷ স্থপতি হিসেবে এই সহজ ডিজাইন, তার কার্যকারিতা খুব ভালো লাগে৷ কাজ অনুযায়ী ডিজাইন স্থির হয়৷’’

তরুণ প্রজন্মের কাছে পুরোনো সাইকেলের কদর বাড়ছে

সহজ-সরল ডিজাইন, কার্যকারিতা এবং উচ্চ মান৷ পেয়ার-ওলফ-এর হাইহুইল-গুলিকে এই সব শর্ত পূর্ণ করতে হয়৷ শুধু দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য উপযোগী করে তুলতে তিনি কিছু পরিবর্তন করেন৷ পেয়ার-ওলফ বলেন, ‘‘ব্যবহারিক দিক থেকে একেবারেই উপযুক্ত নয়৷ গিয়ার নেই, ব্রেক নেই৷ ব্রেক লাগানো যায় বটে, কিন্তু এই সাইকেলে কোনো ব্রেক নেই৷ পথে বাধা এলে পা নামিয়ে সাইকেল থামানোর উপায় নেই৷ তখন লাফিয়ে নেমে পড়তে হবে৷ এর কোনো ব্যবহারিক কারণ নেই৷ অন্য কারণ রয়েছে৷ মজাই হলো আসল কারণ৷’’

‘বার্লিনে ঐতিহাসিক সাইকেল’ নামের এক সমিতিও সাইকেল চালানোর মজাকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেয়৷ সদস্যরা নিয়মিত মিলিত হয়ে তাঁদের পুরানো, ঐতিহাসিক সাইকেল নিয়ে মুক্ত প্রকৃতির কোলে বেরিয়ে পড়েন৷

বেশিরভাগ সাইকেলই বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে তৈরি হয়েছিল৷ গোটা বিষয়টিকে পূর্ণতা দিতে আরোহীরাও সেই সময়কার পোশাক পরেন৷ তবে সবারই নিজস্ব যুক্তি রয়েছে৷ কেউ বলেন, নতুনের তুলনায় পুরানো সাইকেল দেখতে অনেক সুন্দর লাগে৷ কেউ মনে করেন, পুরানো সাইকেলের চাকা এখনো কত ভালো চলে, তা দেখে মুগ্ধ হতে হয়৷ নতুন সাইকেল বড় একঘেয়ে, তাই পুরানোই ভালো৷ আরেক জনের মতে, চালাতে বেশি কষ্ট হয় না৷ তবে ব্রেক না থাকায় ঝুঁকি একটু বেশি৷

উলরিশ ফাইক শুধু ভিন্টেজ সাইকেল চালাতে ভালোবাসেন না, এটা তাঁর পেশারও অংশ৷ কারণ বার্লিনে তাঁর ঐতিহাসিক সাইকেলের দোকান রয়েছে, যা এক মিউজিয়ামের মতো৷ স্পেয়ার পার্টস বা যন্ত্রাংশ পেতে হলে এটাই আসল জায়গা৷ চাহিদা বেড়েই চলেছে৷ তিনি বলেন, ‘‘কমবয়সিরাও আরও বেশি করে পুরানো সাইকেলের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে৷ তাই চাহিদাও বাড়ছে৷ বিখ্যাত ইবে পোর্টালে খুঁজলে অবাস্তব দাম চোখে পড়ে৷ আমার মতে, বিষয়টি ভালোমন্দের ঊর্দ্ধে চলে গেছে৷’’

আধুনিক সরঞ্জামের বদলে পুরানো উপাদান দিয়ে তৈরি সাইকেল চালানোর রোমাঞ্চই আলাদা৷ পেয়ার-ওলাফ কিপেল-এর মতো অনেকের কাছে সেটাই হলো মূল আকর্ষণ৷

স্টেফান ওবারভালেনাই/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য